মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ উসকে দেয়ার অভিযোগ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ট্রাম্পের মুখে শান্তির কথা মানায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় ইসরাইলকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের পরজীবী’ বলে আখ্যা দেন আরাঘচি।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ যেন থামার নামই নিচ্ছে না। ইসরাইলের পার্লামেন্টে ইরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের জুলুমকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে দাবি করেন ট্রাম্প। খামেনি প্রশাসনকে লাখ লাখ মানুষের হত্যাকারী হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিবৃতির পর এবার ট্রাম্পের অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সামাজিক মাধ্যমে আরাঘচি ট্রাম্পকে যুদ্ধ উসকে দিয়ে নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন।
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘এমন মানুষের মুখে শান্তির কথা মানায় না’। ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের পরজীবী ও জুলুমকারী আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ওয়াশিংটনকে তেল আবিব নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবহার করে আসছে।’
এদিকে, সাম্প্রতিক একটি অনুসন্ধানে আরও বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছে অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান ‘দ্য গ্রেজোন’। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যৌথভাবে পরিচালিত তেল আবিবের একটি গোপন সামরিক বাঙ্কারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছিল বলে দাবি করেছে ‘গ্রেজোন'। ‘সাইট ৮১’ নামে পরিচিত সেই স্থাপনাটি বিলাসবহুল ‘দা ভিঞ্চি টাওয়ারস’-এর নিচে গোপনে গড়ে তোলা হয়েছিল। এটি ইসরাইলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মূল কেন্দ্র ছিল বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এসএস/টিএ