তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল

জাতীয় নির্বাচনের আগেই ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের কাজ শুরু ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রায় সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তিস্তা পাড়ের কান্না, আর না আর না’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দিবে জনগণ', ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’, ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

এ সময় রংপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সোহাগ আহমেদ বলেন, ‘আমরা উত্তর বঙ্গের মানুষ মঙ্গা হয়ে জন্ম নেই নাই। আমাদেরকে মঙ্গা করে রাখা হয়েছে। আমি সেই সন্তান যার বাবার জমি ৬ মাস পানির নিচে ডুবে থাকে। আমি সেই সন্তান, যার মা তার মেয়েকে খাবার না দিতে পেরে কান্না করে। আমরা চাই নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হোক।'

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সর্দার বলেন, ‘আমি নিজেও তিস্তা পারের সন্তান, এটা আমার বক্তব্য না এটা আমার অধিকার। আমরা দেখেছি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। আমরা আর এমনটা দেখতে চাই না। সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমরা ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।’

জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা যতদিন বাস্তবায়ন না হবে ততদিন উত্তর বঙ্গের মানুষের দুঃখ শেষ হবে না। তাই আমরা চাই যেন নভেম্বর এর মধ্যে যেন তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সারা বাংলাদেশের এই একটাই দাবি।

মশার মিছিলে অংশ নিয়ে শাখা শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি আছে তা ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ হবে। আমরা চাই এর আগেই আরেকটি চুক্তি সম্পাদন করে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার মানুষকে পানি সরবরাহ করতে হবে। একইসঙ্গে অবশ্যই আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। সেজন্য আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ।’

মশাল মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জেলা কল্যাণ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির সহ সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।

টিজে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম: মাহিয়া মাহি Oct 18, 2025
img
টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনে রংপুর পিছিয়ে Oct 18, 2025
img
আফগানিস্তান সব উপকার ভুলে গেছে : আফ্রিদি Oct 18, 2025
img
নারীরাই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার প্রধান শক্তি : সেলিমা রহমান Oct 18, 2025
img
শাহজালালে আগুনের ঘটনায় বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা Oct 18, 2025
img
জয়ার ‘নকশী কাঁথার জমিন’ আসছে ওটিটিতে Oct 18, 2025
img
‘আপনার স্মৃতিগুলো চিরকাল অমলিন থাকবে’ Oct 18, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় Oct 18, 2025
img
আমার জীবনের টানাপড়েন, বিচ্ছেদ সবই খোলা বইয়ের মতো : সামান্থা Oct 18, 2025
img
কাতারে আলোচনায় বসছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান Oct 18, 2025
img
শহীদ আবদুর রবের স্মৃতিতে কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি ও জিএস Oct 18, 2025
img
চাহিদা মোতাবেক বরাদ্দ দিলে সার সংকট হবে না Oct 18, 2025
ঘুম থেকে উঠে নবীজি যে আমল করতেন | ইসলামিক টিপস Oct 18, 2025
'আজকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে আসিফ মাহমুদরা' Oct 18, 2025
img
খুলনায় পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর Oct 18, 2025
ছন্দে ছন্দে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের Oct 18, 2025
যে কারণে সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন নাহিদ Oct 18, 2025
টিকিট বুকিংয়ে আবারও প্রতারণা Oct 18, 2025
img
সিলেটে রিয়াদ ফেরত একটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ Oct 18, 2025
img
আগুন লাগার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে দেখি না: সারজিস Oct 18, 2025