শাকসু নির্বাচনের দাবিতে রঙ তুলিতে প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের দাবিতে ব্যতিক্রমী আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গ্রাফিতি অঙ্কনের মাধ্যমে তারা তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা থেকে শিক্ষার্থীদের এসব প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঁকতে দেখা যায়।


সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন দেয়ালে শিক্ষার্থীরা লিখছেন ‘শাকসুর রোডম্যাপ দাও’, ‘অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা কর’, ‘শাকসুর তফসিল দাও’, ‘শাকসু আমার অধিকার রুখে দেবে সাধ্য কার’, ‘দ্রুত শাকসু চাই’ এমন নানা দাবি-সংবলিত লেখা।

গ্রাফিতি অঙ্কন প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছর কেটে গেলেও এখনো শাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি, কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন আঙ্গিকে ছাত্ররাজনীতির চর্চা শুরু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি নভেম্বরের মধ্যেই শাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, নইলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা দেয়ালে প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তুলেছি, যেমনটা করেছিলাম সড়ক আন্দোলনে, আবরার ফাহাদের হত্যার বিচারের দাবিতে এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও। প্রশাসন যদি মনে করে কেউ শাকসু নির্বাচন নিয়ে বাধা দিচ্ছে, তাহলে তাদের নাম শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করা হোক।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনে ঘোষণা দিলেও এখনো গঠন হয়নি নির্বাচন কমিশন। এতে শাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

টিজে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনে রংপুর পিছিয়ে Oct 18, 2025
img
আফগানিস্তান সব উপকার ভুলে গেছে : আফ্রিদি Oct 18, 2025
img
নারীরাই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার প্রধান শক্তি : সেলিমা রহমান Oct 18, 2025
img
শাহজালালে আগুনের ঘটনায় বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা Oct 18, 2025
img
জয়ার ‘নকশী কাঁথার জমিন’ আসছে ওটিটিতে Oct 18, 2025
img
‘আপনার স্মৃতিগুলো চিরকাল অমলিন থাকবে’ Oct 18, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় Oct 18, 2025
img
আমার জীবনের টানাপড়েন, বিচ্ছেদ সবই খোলা বইয়ের মতো : সামান্থা Oct 18, 2025
img
কাতারে আলোচনায় বসছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান Oct 18, 2025
img
শহীদ আবদুর রবের স্মৃতিতে কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি ও জিএস Oct 18, 2025
img
চাহিদা মোতাবেক বরাদ্দ দিলে সার সংকট হবে না Oct 18, 2025
ঘুম থেকে উঠে নবীজি যে আমল করতেন | ইসলামিক টিপস Oct 18, 2025
'আজকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে আসিফ মাহমুদরা' Oct 18, 2025
img
খুলনায় পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর Oct 18, 2025
ছন্দে ছন্দে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের Oct 18, 2025
যে কারণে সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন নাহিদ Oct 18, 2025
টিকিট বুকিংয়ে আবারও প্রতারণা Oct 18, 2025
img
সিলেটে রিয়াদ ফেরত একটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ Oct 18, 2025
img
আগুন লাগার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে দেখি না: সারজিস Oct 18, 2025
img
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে ইতিহাস গড়ল এনসিপি : রনি Oct 18, 2025