জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, জুলাই সনদ যারা সই করেছে তাদের ৯০ শতাংশই এই দেশকে ওন করে না, তাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়াশোনা করে, তারা নানা ধরনের কাজে নিজেদের যুক্ত করেন। আপনারা সই করে এসেছেন, ওন করেন এই দেশ? এমন প্রশ্নে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, জুলাই সনদ তো আসলে হঠাৎ করে হয়নি। এটা তো একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল। সেই প্রক্রিয়ায় আমরা সবাই অংশ নিয়েছি।
লাস্ট যেটা ছিল এটা আসলে অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করা। জুলাই সনদে আমরা একমত হয়ে গেছি অনেক আগে। বেশ সপ্তাখানক আগেই। কারণ জুলাই সনদের একটা ফরমেশন দেন, একটা ড্রাফট দেন, আবার ফাইনাল ড্রাফট দেন, আবার সংশোধন করে এটা মোটামুটি আমরা একটা কাজ শেষ করেছি।
এটা পাবলিকলিও চলে এসেছে। ৮৪টা পয়েন্ট। তারপর কয়টাতে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ আছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দেশের এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।
মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আরেকটা অধিবেশন করেছি। সেই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটায় কিছুটা আমরা ঐকমত্যের অভাব দেখেছি। আমরা এটা চেষ্টা করেছিলাম যে আউট অফ দি মিটিং অনানুষ্ঠানিকভাবে। এটাকে সলভ করা যায় কি না। কিন্তু সেটা আমরা সলভ করতে পারিনি।
সেখানে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কয়েকটা মত এসেছে। আইনি ভিত্তির জায়গায় আমরা অনেক ডিসকাশন করি, বিএনপি রাজি হচ্ছিল না। পরে রাজি হলো যে গণভোটের মাধ্যমে একটা আইনি ভিত্তি হবে। কিন্তু গণভোটের আগে এই জুলাই সনদটাকে কীভাবে ক্লেইম করা হবে? কীভাবে এটা জারি করা হবে? সেখানে এনসিপিসহ আমরা অনেকেই বলেছি যেটা কনস্টিটিউশন অর্ডার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা হয়ে রাষ্ট্রপতির একটা কনস্টিটিউশন অর্ডার যাবে। কেউ কেউ বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের একটা মতামত নেওয়া যেতে পারে, ১০৬-এর আন্ডারে।
তিনি বলেন, আমরা আবার যারা সবসময় সমঝোতামূলক ভূমিকা রাখি, আমরা বলেছি সেক্ষেত্রে দুইটাই করা যেতে পারে। আপনার কনস্টিটিউশন অর্ডারের পাশাপাশি ১০৬-এর মতামতও নেওয়া যেতে পারে। নিয়ে এটাকে আমরা গণভোটে যেতে পারি। এখন গণভোটের ব্যাপারে একমত। কিন্তু গণভোটে যাওয়ার আগে অর্ডারটা কী হবে- সেটা নিয়ে দ্বিমত। আর এরপর হচ্ছে গণভোট কি আগে হবে, না কি একই দিনে হবে? এটা নিয়ে দ্বিমত। এটা নিয়ে আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করলাম যে একটা মতে পৌঁছানো যায় কি না। না পারলাম বিএনপিকে একমতে আনতে, না পারলাম এনসিপি বা জামায়াতসহ সবাইকে আনতে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে এখানে তো কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয় না। এখানে হচ্ছে সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপার যে আগে হলে এই এই অসুবিধা, এই সুবিধা আর পরে হলে এই সুবিধা, এই অসুবিধা।
তিনি আরো বলেন, দুই ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, কিছুটা অসুবিধা আছে। আবার কিছুটা সুবিধা আছে। সেজন্য ফাইনালি আমরা বলেছি, ঠিক আছে, অনেক তো চেষ্টা করলাম আমরা। এখন প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টা পরিষদ মিলে বসে উনার একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেই আমার কাছে মনে হয় যে এটা একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ ধরেন, আমাদের তিনজনের মধ্যে যদি ঝগড়া হয়, মাঝখানে কেউ এসে যদি একটা মিটমাট করে দেয়, আমরা তো মেনে নিই। যেহেতু আমরা এতগুলো পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি, সবকিছু শেষ, শুধু এখন ইমপ্লিমেন্টেশনের জায়গায়, তো সেই জায়গাটা এখন পর্যন্ত ডিসাইডেড হয়নি।
ইএ/টিএ