ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি বড় ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়েছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুধু তাই নয়, গাজায় ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশও স্থগিত করা হয়েছে। খবর এপির।
মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করছিল। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি মেনে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দিবিনিময়ও হচ্ছিল নিয়মিত।
কিন্তু এর মধ্যেই ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বারবার গাজায় হামলা চালিয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সবশেষ রোববার (১৯ অক্টোবর) হামাসের বিরুদ্ধে দুই ইসরাইলি সেনা হত্যার অভিযোগ এনে গাজায় বড় ধরনের বিমান হামলা চালানো হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গাজা উপত্যকার আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের অন্তত ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডের জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ইয়াহিয়া আল-মাবহুহও রয়েছেন।
এপির প্রতিবেদন মতে, এই হামলার পর উপত্যকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি বাতিল করে ইসরাইল। তবে পরে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি কার্যকর জোরদার করেছে। এদিকে এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (২০ অক্টোবর) ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশ আবার শুরু হবে।
পিএ/টিকে