‘গুরুজনদের প্রতি ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত, বর্তমান প্রজন্ম কি সেটা ভুলে যাচ্ছে?’ ‘নাকি ক্রমাগত আধুনিকীকরণের পালে হাওয়া দিয়ে নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে?’ কেবিসি ১৭-র মঞ্চে খুদে প্রতিযোগী ঈশিত ভট্টের আচরণ দেখে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছিল নেটপাড়া। এক পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়ার কথা বলার ধরন, আচরণ দেখে বিগত কয়েক দিনে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায় নেটপাড়ায়। ওই দশ বছর বয়সি খুদে কেবিসি জুনিয়রে খেলতে এসে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে যে ‘উদ্ধত আচরণে’ কথা বলেছে, সেই বিষয়টির নিন্দাতেই মুখর হয়েছেন দর্শকমহলের একাংশ। অতঃপর নেটপাড়ায় বেধড়ক ট্রোল, কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে। ‘মা-বাবার শিক্ষা’ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় এবার অমিতাভ বচ্চন এবং কেবিসি টিমের কাছে ক্ষমা চাইল ‘বিতর্কিত প্রতিযোগী’ ঈশিত ভট্ট।
‘ঈশিত ভট্ট অফিশিয়াল’ নামের এক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই ক্ষমা চেয়ে লেখা হয়েছে, “সকলকে নমস্কার। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’তে আমার আচরণের জন্য আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি। আমি জানি, অনেকে হয়তো আমার কথা বলার ধরনে আঘাত পেয়েছেন কিংবা অনেকে হতাশ হয়েছেন। সত্যিই আমি দুঃখিত। ‘কেবিসি’র মঞ্চে ওইসময়ে আমি খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সেটাই আমার আচরণে খুব ভুলভাবে ফুটে উঠেছিল। অভদ্র আচরণ করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না আমার। আমি অমিতাভ বচ্চনকে স্যর এবং কেবিসি’র পুরো টিমকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি।” এই বিতর্ক অধ্যায় যে তাকে নম্র-ভদ্র হওয়ার পাঠ দিয়েছে, সেকথাও জানাল পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া।
দশ বছর বয়সি খুদের সংযোজন, “আমি একটি বড় শিক্ষা পেলাম। কীভাবে আমাদের কথা এবং কাজ আমাদের ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন ঘটায়, এই ঘটনা আমাকে সেটাই শেখাল। বিশেষ করে এত বড় মঞ্চে তো বটেই! আমি প্রতিজ্ঞা করছি, ভবিষ্যতে আরও বিনয়ী, শ্রদ্ধাশীল হব। এবং সম্মান করতে শিখব। যাঁরা আমাকে ভুল থেকে শেখার পাঠ দিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ।”
এসএন