ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি চাপ বজায় রাখতে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দরজা খোলা রাখছে। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান সোমবার এ কথা জানিয়েছেন।
ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর কাজা ক্যালাস বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছে এটি সবার কাছেই খুব স্পষ্ট। তবে যদি না আমরা গাজায় আরো বেশি সাহায্য পৌঁছানোসহ মাঠ পর্যায়ে সত্যিকারের এবং টেকসই পরিবর্তন দেখতে পাই, তবে নিষেধাজ্ঞার হুমকি এখনো টেবিলে রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি হওয়ার আগে ব্রাসেলস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা এবং বাণিজ্য সম্পর্ক সীমিত করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছিল।
ক্যালাস বলেন, ‘আমরা এখন সেই পদক্ষেপগুলো নিয়ে এগোচ্ছি না, তবে সেগুলোকে টেবিল থেকেও সরিয়ে নিচ্ছি না, কারণ পরিস্থিতি এখনো ভঙ্গুর।’
তিনি বলেন, ইইউ চায় ইসরায়েল বেশ কিছু পদক্ষেপ নিক, যার মধ্যে রয়েছে ‘গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছনোর উন্নতি’, ফিলিস্তিনিদের কাছে রাজস্ব হস্তান্তর, সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর নিবন্ধীকরণ।
শান্তি প্রক্রিয়ায় আরো বড় ভূমিকা রাখতে চাইলে ইইউ-এর উচিত প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বাতিল করা এমন চাপ ইসরায়েল ইইউ-কে দিয়ে আসছিল।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আগেও, ইইউ-এর ২৭টি দেশের মধ্যেকার বিভাজনের কারণে ব্রাসেলসের প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো নেওয়ার জন্য তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার গাজাজুড়ে হামাসের কয়েক ডজন অবস্থানে হামলা চালানোর পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি চাপের মুখে পড়ে।
ক্যালাস বলেন, ‘গাজার যুদ্ধবিরতি এই মাত্র তার প্রথম বড় ধরনের কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হলো। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের হামলা এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করার কারণে যুদ্ধবিরতি ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে উঠছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য বৃহত্তম আন্তর্জাতিক দাতা হিসেবে পরিচিত ইইউ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় তাদের সম্পৃক্ততা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।
ব্রাসেলস গাজা এবং মিসরের মধ্যেকার রাফা ক্রসিং তত্ত্বাবধানে সহায়তার জন্য একটি মিশনকে পুনরায় সক্রিয় করেছে, তবে পথটি এখনও বন্ধ থাকায় এটি স্থগিত রয়েছে।
এমকে/এসএন