রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারবে বলে মনে হয় না : ট্রাম্প

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারবে বলে মনে করেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, যে রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারার মতো সক্ষমতা ইউক্রেনে আছে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের কোনো সম্ভাবনা এখনও অবশিষ্ট আছে কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন, “তারা (ইউক্রেন) জিততে পারত। আমার মনে হয় না তা তারা পারবে; কিন্তু তারা চাইলে এখনও তা পারে।”

“আসলে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। আপনারা জানেন, যুদ্ধ খুবই বিচিত্র একটি বিষয়। এখানে অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে, অনেক ভালো ব্যাপারও ঘটে।”

ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনী বর্তমানে দেশটির বেসামরিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে— দাবি করে এ ব্যাপারে ট্রাম্পের অভিমত জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, হামলা হচ্ছে, তবে যারা নিহত হচ্ছে— সবাই সামরিক। প্রতি সপ্তাহে দুই পক্ষের ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার করে সেনা নিহত হচ্ছে।”

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ শেষে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানকে অগ্রাধিকার দেবেন তিনি। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন, গত আগস্টে পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন; কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ইস্যুতে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

বর্তমানে এই যুদ্ধ নিয়ে প্রাকশ্যে যেসব কথা বলছেন ট্রাম্প, সেসবের মধ্যেও পরস্পরবিরোধিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত মাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনের যত এলাকা ‍রুশ বাহিনী দখল করেছে, সেগুলোর সবই ফিরে পাবে কিয়েভ।

কিন্তু পরশু দিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, “ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের কিছু অংশের দখল ছেড়ে দিতে হবে। এই ত্যাগস্বীকার তাকে করতেই হবে। কারণ, পুতিন (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) অবশ্যই কিছু নেবেন। মানে আমি বলতে চাচ্ছি, তারা (রুশ বাহিনী) লড়াই করেছে এবং অবশ্যই কিছু সম্পত্তি তারা জয় করেছে।”

এদিকে গত শুক্রবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে হবে সেই বৈঠক।

সূত্র : আরটি

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপির সময়ে ৫ ভাইসহ জেলে গিয়েছিলাম : চরমোনাই পীর Oct 21, 2025
img
বিমানবন্দরের আগুন ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাশকতার অংশ: আমান Oct 21, 2025
img
'মহা জাদু'র তালে মঞ্চ মাতালেন তানজিন তিশা Oct 21, 2025
img
এনসিপির জন্য অন্য দলের নিবন্ধন আটকে রেখেছে ইসি: মৌলিক বাংলা সভাপতি Oct 21, 2025
img
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই Oct 21, 2025
img
বিশ্ববাজারে সোনা ও রুপার দাম ৩ শতাংশের বেশি কমেছে Oct 21, 2025
img
আলোচিত সেই নীল ছবির তারকাযুগল রিমান্ডে Oct 21, 2025
img
পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় সরকার : তৌহিদ হোসেন Oct 21, 2025
img
আইআরআই প্রতিনিধির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাক্ষাৎ Oct 21, 2025
img

নবম পে স্কেল খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুশি, আতঙ্কে বেসরকারি চাকরিজীবীরা Oct 21, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি জরুরি : গোলাম পরওয়ার Oct 21, 2025
img
প্রথমবারের মতো আইসল্যান্ডে মশা শনাক্ত Oct 21, 2025
img
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Oct 21, 2025
img
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চিত্রাঙ্গদা সিং Oct 21, 2025
img
কাল বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জামায়াতের প্রতিনিধি দল Oct 21, 2025
img
'আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবে' Oct 21, 2025
img
নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করবো, বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা Oct 21, 2025
img
জবানবন্দি শেষে কারাগারে মাহির ও বর্ষাসহ ৩ আসামি Oct 21, 2025
img
আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিচ্ছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী Oct 21, 2025
img
চট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তলসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার Oct 21, 2025