নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক বার্তায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এর আওতায় সারা দেশে ২০০০ থেকে ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি দুইটি উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
প্রথম উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারের অর্থায়নে নিজস্ব ভবনের ছাদে (ভাড়া করা স্থাপনা ব্যতীত) সোলার প্যানেল স্থাপন করবে। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত যেসব প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির নিজস্ব আয় আছে, তারা নিজ উদ্যোগে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপন করবে এবং নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করবে।
দ্বিতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন সব স্বাস্থ্য স্থাপনা এবং অন্য কোনো আগ্রহী সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাদে সম্মিলিত (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে একক) দরপত্রের মাধ্যমে রুফটপ সোলার স্থাপন করা যাবে। এ পদ্ধতিতে যে কোনো প্রতিষ্ঠান নিজ ছাদের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উৎপাদিত ও ব্যবহৃত বিদ্যুৎ সমন্বয় করে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানি বিল প্রদান করবে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা গত ১৫ অক্টোবর থেকে সারা দেশে এই পাঁচ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৪৬ হাজার ৮৫৪টি প্রতিষ্ঠানে ১৪৫৪.৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করেছে। ডিসেম্বরের পূর্বেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে রুফটপ সোলার প্রকল্পে স্বল্প সুদে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে তারা এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন মডেলে অর্থায়ন করবে।
এসএস/এসএন