কুয়াকাটায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের প্রাণহানি, আক্রান্ত শতাধিক

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। নতুন করে আরও দুই ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ মৃতরা হলেন-খাজুরা এলাকার চান মিয়া ফকিরের ছেলে নুরজামাল ফকির এবং মিশ্রীপাড়া এলাকার হাবিব।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর থানার লতাচাপলি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রাহিমা আক্তার রুপা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে দুজনই মারা যান।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর মহিপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই নারী, এক শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বাসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

বর্তমানে মহিপুর ও আশপাশের এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী কালবেলাকে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা মাইকিং ও প্রচারণা চালাচ্ছি। ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে নিজ নিজ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার মধ্যে মহিপুর ও কুয়াকাটা সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালে মহিপুর থানার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ জন ভর্তি রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হামিদ কালবেলাকে বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনাগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন স্প্রে করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, এলাকাজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মৌনী রায়ের রেস্তোরাঁর নাম ‘বদমাশ’, এক গোলাপজামের দাম ৪১০ টাকা! Oct 27, 2025
img
সরকারি অফিসে ঝুড়ি কেনার ধাপের বর্ণনা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 27, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা, দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা Oct 27, 2025
img
দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা : খাদ্য উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
শামীমের পারফরম্যান্সে হতাশ লিটন দাস Oct 27, 2025
img
আ.লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে জামায়াত নেতার মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন নেতাকর্মীরা Oct 27, 2025
img
গুজব নয়, বাস্তব সত্য দেখার আহ্বান রঞ্জিত মল্লিকের Oct 27, 2025
img
এবার জনগণই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে: সালাহউদ্দিন আহমদ Oct 27, 2025
img
ঐকমত্য কমিশনের সব ডকুমেন্ট উন্মুক্ত থাকা দরকার : প্রধান উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
মেয়াদ শেষ হলেও প্রয়োজনে সরকারকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব : আলী রীয়াজ Oct 27, 2025
img
৮ম বার নির্বাচিত হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট Oct 27, 2025
img
শাহরুখ, বিরাটদের মতো দামী পানি পান করেন শেহনাজ়, কিন্তু পাননি ভালো ফল Oct 27, 2025
img
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল লেখক ও সাংবাদিক মনিরুজ্জামানের Oct 27, 2025
img
দেশের বাজারে রুপার দামে বড় পতন! Oct 27, 2025
img
যুবলীগের সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় কাল Oct 27, 2025
img
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১ম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে হারল বাংলাদেশ Oct 27, 2025
img
শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে হবে, না হলে পাস করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 27, 2025
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে অভিযান, জুয়া চক্রে আঘাত Oct 27, 2025
img
একসময় অতিরিক্ত মদ্যপান, এখন নিয়ন্ত্রণে অজয় দেবগন Oct 27, 2025
img
৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরলেন আফগান নারীরা Oct 27, 2025