ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ন্যায়সংগত দাবি মানতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষানীতি জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে ইসলামী শিক্ষা নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পতিত সরকারের আমলে প্রণিত পাঠ্যপুস্তকে যেসব ইসলামবিরোধী বিষয় সংযোজন করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে হবে।’

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক এ বি এম ফজলল করিম।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম এবং সমন্বয়কারী ড. আবদুস সবুর ফকির ও জনাব শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মাদানী ও সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, শিক্ষক সমাজের দাবি পূরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশে প্রায় ১২ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা রয়েছে।

এসব মাদরাসার শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত এমপিওভুক্ত করার জন্য আমি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা যেন অন্যান্য শিক্ষকদের মতো সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারেন তাদের সে অধিকার দিতে হবে। সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, সকল প্রকার গড়িমসি পরিহার করে, প্রয়োজনে বরাদ্দ দিয়েও সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ওই ১ হাজার ৮৯টি মাদরাসাকে অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করতে হবে।

অন্যথায় শিক্ষক সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নারীদের কর্মঘণ্টা আগে কমানো উচিত জামায়াতের : ড. গালিব Oct 28, 2025
img
আমার পরিচয় আমার সিনেমা, সম্পর্ক নয় : রুক্মিণী মৈত্র Oct 28, 2025
img
ছয় মেরেও হিট আউট তাসকিন, বাংলাদেশের হার Oct 28, 2025
img
মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী Oct 28, 2025
img
শুভশ্রীকে নিয়ে ১৪ বছরেও কিছু বলিনি, এটাই সম্মান : দেব Oct 28, 2025
img
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাশ গ্রেপ্তার Oct 28, 2025
img
আমরা ইরানের সঙ্গে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি : রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 28, 2025
img
সালাহউদ্দিন স্যার আমার ব্যাটিংয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস রাখে : তানজিম সাকিব Oct 28, 2025
img
বিএনপি নেতা টুকুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি Oct 28, 2025
img
বিএনপি নেতা দিদারুল আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার Oct 28, 2025
img
সাজাপ্রাপ্তরা দেশে না থেকেও মুক্তি পাচ্ছে : ফয়জুল করিম Oct 27, 2025
img
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ড. ইউনূসের সংস্কার ও জুলাই সনদ কেবলই ভাঁওতাবাজি : জিল্লুর রহমান Oct 27, 2025
img
শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র Oct 27, 2025
img
মৌনী রায়ের রেস্তোরাঁর নাম ‘বদমাশ’, এক গোলাপজামের দাম ৪১০ টাকা! Oct 27, 2025
img
সরকারি অফিসে ঝুড়ি কেনার ধাপের বর্ণনা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 27, 2025
img
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা, দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা Oct 27, 2025
img
দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা : খাদ্য উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
শামীমের পারফরম্যান্সে হতাশ লিটন দাস Oct 27, 2025
img
আ.লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে জামায়াত নেতার মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন নেতাকর্মীরা Oct 27, 2025