ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এমন প্রপোজালের প্রেক্ষিতে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, আমরা প্রথমে দেখতে চাইব, তাদের (জামায়াত) নিজেদের কোনো প্রতিষ্ঠানে এটার বাস্তবায়ন। এটা কাজ করে কিনা? বাস্তবায়ন করতে গেলে এটার কি কি পজিটিভ ও নেগেটিভ দিক দেখা যায়।
সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে ড. মির্জা গালিব লেখেন -সামনে নির্বাচন। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ নানান প্রপোজাল/কমিটমেন্ট দেবেন এখন। কিছু কিছু প্রপোজাল কথার কথা, আর কিছু কিছু প্রপোজাল সিরিয়াস। এখন, কোন প্রপোজাল সিরিয়াস কিনা এটা আমরা কীভাবে বুঝব? এটা বোঝার উপায় হলো : প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, সেই ডিটেইলস প্রপোজালে আছে কিনা, সেইটা দেখা। আর এই প্রপোজাল বাস্তবায়নের জন্য কোনো ছোট আকারে পাইলট প্রজেক্ট করা হইছে কিনা?
যেমন-জামায়াতের আমির কর্মক্ষেত্রে নারীদের কর্মঘণ্টা কমায়ে আনার প্রপোজাল দিয়েছেন। আমরা প্রথমে দেখতে চাইব-তাদের নিজেদের কোনো প্রতিষ্ঠানে এটার বাস্তবায়ন। এটা কাজ করে কিনা? বাস্তবায়ন করতে গেলে এইটার কি কি পজিটিভ নেগেটিভ দিক দেখা যায়।
বিএনপির উদ্দেশে ড. গালিব লেখেন-গতকালকে আমার সঙ্গে একটা টকশোতে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিএনপি পরিবর্তন হয়ে যাবে, ভালো লোকেরা বিএনপি করতে পারবে তখন। খুবই সুন্দর আশাবাদ। কিন্তু পাইলট প্রজেক্টিং-এর দিক থেকে আমরা দেখতে চাইব, তারেক রহমান যতদিন লন্ডনে আছেন; ততদিন লন্ডন বিএনপির কি কি পরিবর্তন হইছে?
নাগরিকরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুক উল্লেখ করে ড. মির্জা গালিব লেখেন- রাজনৈতিক দলগুলো ভালো প্ল্যান দেবার ক্ষেত্রে, ভালো কাজ করার ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতায় আসুক; আর নাগরিকরা তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুক, এইটাই আমাদের চাওয়া।
পিএ/টিএ