কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ভৈরব স্টেশন মাস্টার আবু ইউসুফ বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন।
মামলার পর ভৈরবের বিভিন্ন স্থান থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনজনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। তাদেরকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটকরা হলেন পৌর এলাকার পঞ্চবটি এলাকার লোকমানের ছেলে ফাহিম (১৭), জজ মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া (১৭) এবং খুরশিদ মিয়ার ছেলে সাজন (১৭)।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সোমবার ভৈরব রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে ২০০ থেকে ২৫০ জন রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে থাকে। সকাল আনুমানিক ১০টা ২৫ মিনিটে নোয়াখালী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ভৈরব রেলস্টেশনে বিরতিহীন আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১) ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনের পূর্ব আউটারে আটকা পড়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনটিকে প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় ১ নম্বর প্লাটফর্মে আন্দোলনকারীরা ট্রেনের সামনে ১ নম্বর লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ট্রেন চলাচলে বাধা দেয়। সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করলে অবরোধকারীদের ১০০ থেকে ১৫০ জন পাথর নিক্ষেপ করে। তারা যাত্রীদের প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং ট্রেনের ইঞ্জিনবগি লক্ষ্য করেও ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন কোচের একটি লুকিং গ্লাস, একটি হেড লাইট ও একটি সাইড লাইট ও গার্ডরুমের একটি গ্লাস ও খাবার কোচের ওপরের দুটি গ্লাসসহ ইঞ্জিনের ওপর বিভিন্ন স্থানে রং চটে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয়।
ভৈরব রেলওয়ে জংশনের মাস্টার আবু ইউসুফ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জন আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তিনজনেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে।
ইউটি/টিএ