বলিউডের প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার, পরিচালক ও অভিনেত্রী ফারাহ খানকে আমরা সবসময় ঝলমলে জীবনের প্রতীক হিসেবে দেখি। তবে তার বাস্তব জীবন কম কঠিন ছিল না। মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি (আইভিএফ) গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বারবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়ায় ফারাহকে দীর্ঘ সময় হতাশা ও কান্নার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল।
২০০৮ সালে আইভিএফ-এর মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের মা হন ফারাহ খান। তবে এই সাফল্যের আগে তার মা হওয়ার চেষ্টা দুইবার ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। ফারাহ বলেন, ‘আইভিএফ পদ্ধতিতে আমি দুইবার ব্যর্থ হয়েছিলাম। তখন আমি খুব কাঁদতাম, কেঁদেই আমার দিন কাটত। সম্ভবত হরমোনের ওঠানামার কারণে কান্না আরও বেশি পেত। সেই কঠিন সময়েই আমি ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির শুটিং করছিলাম।’
২০০৪ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক শিরীষ কুন্দরকে বিয়ে করেন ফারাহ। দেরিতে বিয়ে করার কারণে তিনি স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শেই তিনি আইভিএফ-এর আশ্রয় নেন। প্রথম দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর ৪২ বছর বয়সে ফারাহ ভেবেছিলেন এটিই তার শেষ চেষ্টা। অবশেষে তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় তিনি সফল হন এবং এক পুত্র ও দুই কন্যাসন্তানের মা হন।
টিএম/টিএ