ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের কলামানখালি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কলামানখালি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কলামানখালি গ্রামে স্থানীয় বিএনপি নেতা নাইম ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- মানিক জোয়াদ্দারের ছেলে বিসারত জোয়াদ্দার (৬৮) ও হাসেম জোয়াদ্দার (৭০), ওলিয়ার মুন্সির ছেলে সুরুজ (২৫), রজব মুন্সির ছেলে ইয়ালিক (৪৫), জাফর জোয়াদ্দারের ছেলে নাইম জোয়াদ্দার এবং সৈয়দ আলী মোল্যার ছেলে গোলাম রসুল (৬০)। আহতরা বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান বলেন, রোববার কলামানখালি বাজারে নাঈম ও তার সমর্থকরা একটি দোকান বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে নাঈমের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান নাঈম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমার ৭-৮ জন লোক আহত হয়েছেন। আসাদুর রহমানের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
ইউটি