প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেকেই টিভির টক শোতে যান এবং ডাহা মিথ্যা কথা বলেন। এমন মিথ্যা বললেই নাকি মার্কেট পাওয়া যায়! আবার মিথ্যা কথা বলছে জেনেও সেই ব্যক্তিকে ডেকে টক শো করানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি টক শোতেই একই অবস্থা। মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। সেন্ট মার্টিন নিয়ে এমন কোনো মিথ্যাচার নেই যা তারা করেনি। উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়েও মিথ্যাচার হচ্ছে। আর সেনাবাহিনীকে নিয়ে তো প্রতিদিনই হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোন সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় এ মন্তব্য করেন।
সংস্কার ও সাংবাদিকতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসসচিব মফস্বল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিকরা দিন-রাত নিউজের পেছনে ছুটে প্রতিবেদন তৈরি করেন। দেশের প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেল আপনাদের সংগ্রহ করা ফুটেজ ব্যবহার করে। সেগুলো সারা বছর ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে আয় করে। অথচ সাংবাদিকদের কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই, সম্মানিও দেয় না।
শুধু আইডি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলে ‘যাও, করে খাও’। এ নিয়ে সাংবাদিকদেরই সোচ্চার হওয়া উচিত। শফিকুল আলম আরো বলেন, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, খুঁজে দেখেন তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন। কেউ হয়তো পূর্বাচলের প্লট পেয়েছেন, নয়তো তার কাছ থেকে কোনো মনিটরিং বেনিফিট পেয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।
নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। চব্বিশের জুলাইয়ের পরও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, তা অস্বীকার করছি না। এটি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
প্রেসসচিব বলেন, যিনি আলী রিয়াজকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি নিঃসন্দেহে মিথ্যাচার করেছেন। তার উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস রিলিজে সব বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে।
পরে সার্কিট হাউস চত্বরে আইটিএস নেত্রকোনার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় নানা সংস্কারের দাবিতে প্রেসসচিব শফিকুল আলমের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা। প্রেসসচিব স্মারকলিপি সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
মতবিনিময় শেষে শহরের মোক্তারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন জুলাই স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শফিকুল আলম।
এবি/টিকে