বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা আগামী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, বিলম্বিত করতে চায়; তাদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরাজিত করতে হবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেটে বিপ্লব উদ্যানের পাশে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এ সভার আয়োজন করে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আর ইউ চৌধুরী শাহিন এবং ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জনসভায় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘খাঁটি সোনা’ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, আমার সামনে যারা আছে, তারা গত ১৫ বছরে জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আমার বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছেন। এই খাঁটি সোনায় যাতে কোনো দাগ লাগতে না পারে, কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে। মনে রাখতে হবে, এই ঐক্যবদ্ধ বিএনপি শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে।
নির্বাচন আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, এখনো আন্দোলন শেষ হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন শেষ হবে না। গত ১৭ বছর আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে এনেছি, একইভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় বাংলাদেশের মানুষ। সুতরাং উত্তর একটাই— ঐক্য ভাঙার কোনো সুযোগ নেই।
জুলাই সনদ নিয়ে বিভক্তি তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন একটা ঐকমত্য কমিশন হয়েছিল। অর্থাৎ ঐক্য করার জন্য একটা কমিটি হয়েছিল। তাদের কাজ হচ্ছে সব দল মিলে একটা ঐকমত্য সৃষ্টি করা। আমরা বারবার বলেছি, আপনাদের কাজ হচ্ছে সব দলের সঙ্গে বসে একটা ঐকমত্য সৃষ্টি করা। ঐকমত্য মানে এই নয় যে, সব দল সবকিছুতে একমত হবে। যেগুলোতে ঐকমত্য হবে, সেই ঐকমত্য নিয়েই আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাব। আর যেগুলোতে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো নিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সুযোগ আছে, আগামী নির্বাচনের আগে সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করা। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।