একসময় তেলুগু চলচ্চিত্রের উদীয়মান তারকা হিসেবে প্রশংসার শীর্ষে ছিলেন শ্রীলিলা। মিষ্টি হাসি, দুর্দান্ত নাচের দক্ষতা আর টানা হিট ছবির সাফল্যে তিনি যেন রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন। কিন্তু এখন সেই উজ্জ্বল যাত্রাপথে এসেছে এক মোড়- শ্রীলিলার ক্যারিয়ার যেন পৌঁছেছে এক অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে।
শিল্পমহলের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, টানা একের পর এক প্রজেক্টে সই করা, একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা এবং নিজেকে সময় না দেওয়ায় তিনি ধীরে ধীরে ক্লান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন নিজের প্রতিভাকে। বলা হচ্ছে, এই তাড়াহুড়োই হয়তো তার অভিনয়জীবনের স্থায়িত্বে প্রভাব ফেলতে পারে।
সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে আসন্ন অরুন্ধতী ছবির রিমেক। মূল ছবিতে অনুষ্কা শেট্টির অভিনয় এখনো দর্শকের মনে গেঁথে আছে। শোনা যাচ্ছে, এই নতুন সংস্করণে প্রযোজক আল্লু আরবিন্দ শ্রীলিলাকে নেওয়ার বিষয়ে নতুন করে ভাবছেন। তার কারণ তারকা শক্তি নয়, বরং চরিত্রটির জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা ও অন্তর্নিহিত শক্তির প্রশ্ন। এক অভ্যন্তরীণ সূত্রের ভাষায়, “তিনি কি এমন চরিত্রের ভার নিতে পারবেন, যেখানে আবেগ ও তীব্রতা একসাথে প্রয়োজন?”
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, শ্রীলিলার মূল সমস্যা বৈচিত্র্যের অভাব। নাচের দৃশ্যে তার ঝলক থাকলেও অভিনয়ের গভীরতা ক্রমে আড়ালে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক কিছু ছবির বক্স অফিস ফলাফলও তা-ই ইঙ্গিত করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কাজের চাপে মানসিক ক্লান্তি ও সেটে মনোভাবের পরিবর্তন সংক্রান্ত কানাঘুষা।
তবে সবকিছুর মাঝেও নির্মাতারা আশাবাদী। তাদের মতে, শ্রীলিলার জনপ্রিয়তা এখনো অটুট, ভক্তদের ভালোবাসাও অক্ষুণ্ণ। শুধু প্রয়োজন সামান্য বিরতি, আত্মসমালোচনা আর নতুন করে ফোকাস করা। একটু থেমে গেলে হয়তো আরও শক্তভাবে ফিরে আসতে পারবেন তিনি- আগের মতো আলো ছড়াতে, কিন্তু এবার আরও গভীর আলোয়।
টিএম/এসএন