সাতক্ষীরা শহরে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক স্তম্ভের চারপাশে কিছু একটা ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। সেখানে আগুনের আলামত ও পেট্রোলের গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে স্তম্ভটি অক্ষত রয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় আগুনের এমন ঘটনার পরও কাউকে শনাক্ত করতে না পারার ব্যর্থতার দায় পুলিশকে নিতে হবে।
সাতক্ষীরা জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আরাফাত হোসাইন বলেন, “আমরা দেখছি সাতক্ষীরার কয়েকটি ফেসবুক পোস্টে এটা পাবলিক করা হয়েছে, সেখানে ‘সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগ’ লেখা। এখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যদি দ্রুত সিসি ক্যামেরার অ্যাক্সেস নেওয়া যায়, তাহলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করা যাবে। আরও হতাশার বিষয় হলো-আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফাইড পেজ থেকে ১০, ১১, ১২ এবং ১৩ তারিখ কর্মসূচি দিয়েছে, তাহলে এটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হওয়া সত্ত্বেও কেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন ছিল না?”
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা কয়েক দফায় এখানে এসেছেন, তবে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, “আগুন জ্বললে সাথে সাথে ওই জায়গাটা কালো হয়ে যাবে বা পুড়ে যাবে, কিন্তু এমন কিছু পাওয়া যায়নি। আমার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা এখন থেকে পাহারার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ঘটনাটিকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।” কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
টিজে/টিএ