হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে চীনের সীমান্তবর্তী লাদাখে নতুন বিমানঘাঁটি নির্মাণ ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ. পি. সিং গতকাল বুধবার নির্মানাধীন ঘাঁটিটি পরিদর্শন করতে এসেছিলেন।
ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাাদাখের মুধ-নিওমা এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিমানঘাঁটি। এই স্থাপনার জন্য যে জমি বেছে নেওয়া হয়েছে, সেটির উচ্চতা সাগরপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ফুট। সেই হিসেবে এটি ভারতের উচ্চতম বিমানঘাঁটি হতে যাচ্ছে।
নির্মাণাধীন নতুন এই বিমানঘাঁটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ভারতের বিমানবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সঞ্জীব কাপুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, “নির্মানাধীন নতুন বিমানঘাঁটির যুদ্ধবিমান অপারেশন পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা থাকবে। আমাদের দুই শত্রুর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে এই ঘাঁটি।”
দুই শত্রু বলতে পাকিস্তান ও চীনকে বুঝিয়েছেন এয়ার মার্শাল (অবঃ) সঞ্জীব কাপুর পাকিস্তান এবং চীনকে বুঝিয়েছেন। চীনের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও সীমান্ত আছে লাদাখের।
গত শতকের ৫০- এর দশক থেকে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে বিবাদ চলছে ভারতের। সর্বশেষ ২০২০ সালে লাদাখের গালাওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত হয়েছিল ভারতীয় সেনাদের। সেই সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় এবং ৪৫ জন চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন।
পুরোনো তিক্ত স্মৃতিকে পেছনে ফেলে সম্প্রতি ফের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছে ভারত এবং চীন, তবে ভারতের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে- নয়াদিল্লি এখনও বেইজিংয়ের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা আনতে পারেনি, যার নিদর্শন এই নির্মাণাধীন নতুন বিমানঘাঁটি।
টিএম/টিএ