ভারতে উচ্ছেদ অভিযানে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালো বিএসএফ

ভারতে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফের পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাদের যশোরের বেনাপোলের রঘুনাথপুর সীমান্ত পথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে এসব বাংলাদেশিদের বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে ভারতীয় পুলিশ। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন: আব্দুল হান্নান (৬০), হোসেন আলী (২৫), আকলিমা খাতুন (৫২), শাহানারা খাতুন (১৫), হাফিজুর রহমান (৩১), রেশমা খাতুন (২৮), আজমিরা (০৫), বাবলুর রহমান (৪২), তাহামিনা বেগম, জান্নাতুল বুশরা (০৪), তাইজুল ইসলাম (৪৩), নাসিমা খাতুন (৪১), শেফালী খাতুন (৩৬),আমিনুর রহমান (৫৬) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯)। এদের বাড়ি সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

ফেরত আসা বাংলাদেশি হোসেন জানান, তারা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ৫ থেকে ৭ বছর আগে থেকে ভারতে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি ভারত সরকার এসআইআর চালু করায় অবৈধ বসবাসকারী বাংলাদেশিদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এতে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিলে তারা দেশে ফিরতে বিএসএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিএসএফ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। ফেরত আসারা জানান, যাদের ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন সবাইকে উচ্ছেদ শুরু করেছে দেশটি। ব্যাংকে হিসাবও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে সবাই ফিরছেন।

এ দিকে বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন কার্ডসহ অন্যান্য নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে তাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে নিশ্চিত হওয়ায় তাদের ফেরত পাঠিয়েছে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল মামুন সাহা জানান, ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বিজিবি সদস্যরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে রাতেই তাদের নিজ নিজ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্যামসনকে ২৪ কোটি টাকায় এনেও অধিনায়ক বানায়নি চেন্নাই Nov 16, 2025
img
লিওনেল স্কালোনির নেতৃত্বে স্বপ্নপূরণ আর্জেন্টিনার ৫৯ ফুটবলারের Nov 16, 2025
img
নির্বাচনের পক্ষে ব্যাপক ঐকমত্য দেশে বিরাজ করছে : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Nov 16, 2025
img
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন দাবিতে সমাবেশ Nov 16, 2025
img
বিবিসির কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলার চাইতে পারেন ট্রাম্প! Nov 16, 2025
img
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জে ২ মামলা, গ্রেপ্তার ৫ Nov 16, 2025
img
মায়ানমারে ৩৫ বছর পর তানিনথারি অঞ্চলের মডং শহর দখলে নিল কারেন বিদ্রোহীরা Nov 16, 2025
img
যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছে, তারা এবারও পরাজিত হবে: হাফিজ Nov 16, 2025
img
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ Nov 16, 2025
img
কলকাতার সঙ্গে ১১ বছরের পথচলা শেষ আন্দ্রে রাসেলের Nov 16, 2025
img
বিএনপি যা অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে : খোকন Nov 16, 2025
img
আগামী নির্বাচনই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কাজ করবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Nov 16, 2025
img
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই : প্রেস সচিব Nov 16, 2025
img
শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির ১ মামলার শুনানি আজ Nov 16, 2025
img
সংবিধান সংশোধন নিয়ে পাকিস্তানে অস্থিরতা, পদত্যাগ আরেক বিচারপতির Nov 16, 2025
img
কাতারে কঙ্গো সরকারের সঙ্গে কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্স একটি নতুন শান্তিচুক্তি সই Nov 16, 2025
img
তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সর্বজনীন দিকনির্দেশনা: মনিরুল হক চৌধুরী Nov 16, 2025
img
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন : ফরিদা আখতার Nov 16, 2025
img
লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, প্রাণ হারালেন ৪ বাংলাদেশি Nov 16, 2025
img
বিচারকদের কলমবিরতি পালন কর্মসূচি প্রত্যাহার Nov 16, 2025