অতীতে বিতর্কিত মন্তব্যে বহুবার শিরোনামে এসেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও অভিনেতা যোগরাজ সিং। এ বার জানালেন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন বাস্তবতা। ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বাবা বলেন, এখন তার জীবন একাকিত্বে ভরা, এমনকি অচেনা মানুষের দেওয়া খাবারেই দিন কাটে তার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ বলেন, তার জীবনে আর কিছুই বাকি নেই।
যোগরাজের ভাষায়, ‘আমি আমার মা, সন্তান, পুত্রবধূ, নাতি–নাতনি, পরিবারের সবাইকে ভালোবাসি। তবে কারো কাছ থেকে কিছু চাই না। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। আমার জীবন সম্পূর্ণ।
যে দিন ঈশ্বর চান আমাকে নিজের কাছে ডেকে নিতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে ঋণী থাকব।’
যোগরাজের প্রথম স্ত্রী শবনমের সঙ্গে থাকেন দুই ছেলে, যুবরাজ ও জোরাভর। অতীতে যুবরাজ নিজেও বলেছিলেন, বাবা–মায়ের নিয়মিত ঝগড়া তাকে বিচ্ছেদের জন্যই প্রার্থনা করতে বাধ্য করেছিল।
শেষ পর্যন্ত সেই বিচ্ছেদই হয়। পরে যোগরাজ নীনা বুন্দেলকে বিয়ে করেন; তাদের এক ছেলে ভিক্টর ও মেয়ে আমনজ্যোৎ।
বর্তমান জীবনের একঘেয়েমি সম্পর্কে যোগরাজ বলেন, ‘রোজ বিকেলে একা বসে থাকি। ঘরে কেউ থাকে না। অচেনা লোক কখন খাবার দেবে, তার অপেক্ষায় থাকি। রান্নার লোক আছে ঠিকই, কিন্তু কাজ শেষে তারা চলে যায়। খিদে পেলে যে-ই খাবার দেয়, তাই খাই।’
শবনম ও দুই সন্তানকে হারানোই জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে জানান তিনি। যোগরাজ বলেন, ‘যুবরাজ আর তার মায়ের চলে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাত। যার জন্য জীবন উজাড় করে দিলাম, সে-ই এভাবে চলে গেল! ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করেছি, কী এমন করলাম যে সবাই ছেড়ে গেল? কিছু ভুল করেছি হয়তো, কিন্তু কারো ক্ষতি করিনি কোনো দিন।’
ইএ/টিকে