কেরানীগঞ্জের বাবুবাজারে অবস্থিত জমেলা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট। ভবনের দোকানের শাটার ও কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আগুন নির্বাপণের কাজ করতে হচ্ছে। এতে আগুনের উৎসে পৌঁছাতে সময় লাগছে। চারপাশে ঘন ধোঁয়া থাকায় উদ্ধার ও নির্বাপণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভবনের আশপাশে আবাসিক ও বাণিজ্যিক মিশ্র ভবন রয়েছে। নিচতলায় প্রচুর দোকান থাকায় সবগুলো শাটার দিয়ে বন্ধ করা। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দোতলা ও তিনতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভবনের বেজমেন্টেও দোকান থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে। সেখানে ঝুট গুদামসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।
লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, দোকানের শাটার ও কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা চারদিক থেকে আগুনে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছি, যাতে এটি আশপাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, ভবন থেকে এখন পর্যন্ত ম্যানুয়ালি সিঁড়ি ব্যবহার করে ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেমিক্যালের উপস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, ভবনে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিস্ফোরণের যে শব্দ শোনা গেছে, সেটি ব্যাকড্রাফটের কারণে হয়েছে। ব্যাকড্রাফট হলো-আগুন বা ধোঁয়া কোনো স্থানে আটকে থাকার পর হঠাৎ খোলা হলে সৃষ্ট শব্দ।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। শুরুতে ৮টি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরও ৬টি ইউনিট যোগ করা হয়। বর্তমানে মোট ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ইউটি/টিকে