ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে র্যাব। নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন তরুয়া এলাকার মোল্লার বাড়ির সামনে তরুয়ার বিলের পানির মধ্য থেকে এসব আলামত উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে- দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি খেলনা পিস্তল, ৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মো. ফয়সাল (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী। তিনি বলেন, ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে মো. ফয়সাল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
উইং কমান্ডার ইন্তেখাব চৌধুরী আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদীর সদর থানাধীন তরুয়া এলাকাস্থ মোল্লার বাড়ির সামনে তরুয়ার বিলে পানির মধ্য থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোসা. হাসি বেগমকে (৬০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। এছাড়া এর আগে, ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর ও তাকে পাচারে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে রোববার রাতে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে ওসমান হাদি হামলার শিকার হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।
গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসএস/এসএন