হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ৪ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে ঝালকাঠিতে ঢাকা-ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবরোধের কারণে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনাসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাসসহ শতাধিক যানবাহন সড়কের দুই পাশে আটকে পড়ে। এতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। টানা প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরোধের ফলে পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তারা বলেন, এখনো হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া প্রমাণ করে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

জুলাই যোদ্ধা ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, হাদি কোনো একক ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রতিবাদের প্রতীক। দিনের পর দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীরা ধরা না পড়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।

জুলাই যোদ্ধা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক রাইয়ান সাইয়ান বলেন, এই হত্যাকাণ্ড শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাকে নয়, পুরো দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আছি, কিন্তু দাবি মানা না হলে কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।

কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই যোদ্ধাদের পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। পরে বিকেলের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে। পুলিশের আশ্বাসের পর সন্ধ্যার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে মহাসড়কে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে বিএনপি : প্রিন্স Dec 21, 2025
img
প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ, তবু রাজস্বে ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি Dec 21, 2025
img
২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পোস্টাল ভোটিং অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে Dec 21, 2025
img
আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ Dec 21, 2025
img
কে করবেন রাজশাহীর উইকেটকিপিং? মুশফিক নাকি আকবর? Dec 21, 2025
img
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে চুরি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সামগ্রী , আটক ৩ Dec 21, 2025
img
হাদি হত্যা: প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Dec 21, 2025
img
নির্বাচন বানচাল করতেই ওসমান হাদিকে হত্যা: জুনায়েদ সাকি Dec 21, 2025
img
লালমনিরহাটে অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি Dec 21, 2025
img
শ্রীলঙ্কায় ভূমিধস নিয়ে সতর্কবার্তা, বাংলাদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ Dec 21, 2025
img
ভক্তদের সঙ্গে নিজের জীবন দর্শন ভাগ করলেন ইশা সাহা Dec 21, 2025
img
ট্রাম্পকে ফিফার ‘পিস প্রাইজ’, আগেই ফিফার কাছে একগুচ্ছ শর্ত দেয় হোয়াইট হাউজ! Dec 21, 2025
img
হোয়াইট হাউসের ক্রিসমাস ডিনারে আমন্ত্রণ পাওয়া অবিশ্বাস্য এক অভিজ্ঞতা: মল্লিকা শেরওয়াত Dec 21, 2025
img
টিএফআই সেলের মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ ২৩ ডিসেম্বর Dec 21, 2025
img

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

দিল্লির ঘটনা ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ নয়, বিক্ষোভ সম্পর্কে আগে জানানো হয়নি Dec 21, 2025
img
মকসুমুল হাকিম চৌধুরীকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি Dec 21, 2025
img
সোনার দামে নতুন রেকর্ড, প্রতি ভরি ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা Dec 21, 2025
img
১৪ বছর পর পর্দায় জুটি হচ্ছেন অক্ষয়-বিদ্যা Dec 21, 2025
img
গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির ২ আসনে সমঝোতা Dec 21, 2025
img
গ্রিনকে সর্বোচ্চ দামে কেনার কারণ জানালেন কলকাতা কোচ Dec 21, 2025