চট্টগ্রাম নগরের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজস্ব আদায় জোরদারের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) চসিক কার্যালয়ে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
সভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামালসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়া সত্ত্বেও ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য খাতে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার চেয়ে কম। তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ১০ লাখের বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা দেড় লাখের নিচে। এই বিপুল ঘাটতি মেটাতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।
সভায় জানানো হয়, বিজ্ঞাপন ও শপসাইন ফি খাতে গত ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। করদাতাদের আস্থা ফেরাতে আপিল বোর্ডের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। মেয়র নির্দেশ দেন, কোচিং সেন্টারসহ সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র বিজ্ঞাপন প্রচার করে নগরের সৌন্দর্য নষ্ট করা হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্ব আদায় বাড়াতে কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, ‘করদাতাদের আস্থা ফেরাতে নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রতিদিনের রাজস্ব আদায়ের সারসংক্ষেপ আমাকে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। সুশাসন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আমরা আধুনিক চট্টগ্রাম গড়ব।’
সভায় রাজস্ব আদায় আরও গতিশীল করতে প্রতিবছর রাজস্ব সম্মেলন আয়োজন, এনবিআর ও বন্দরের সঙ্গে সমন্বয় এবং শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগসহ বিভিন্ন কৌশলগত প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
পিএ/টিকে