বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর আদায়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নগর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার স্বার্থে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট সংস্থা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই তাদের ন্যায্য কর পরিশোধ করতে হবে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) চসিক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, অতীতে অযৌক্তিকভাবে নির্ধারিত গৃহকর যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে নিয়মিত রিভিউ বোর্ড বসানো হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করে ন্যায্য কর নির্ধারণ করা হলেও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ বাণিজ্যিক খাত থেকেই নগর পরিচালনার বড় অংশের রাজস্ব আসে।
তিনি বলেন, রেলওয়ে, চট্টগ্রাম বন্দর, তেল কোম্পানি, বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে প্রাপ্য হোল্ডিং ট্যাক্স ও অন্যান্য কর নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে নগরের অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, বন্দরের কাছ থেকে বর্তমানে যে পরিমাণ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হচ্ছে তা প্রকৃত পাওনার তুলনায় অনেক কম। যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত কর নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে এবং এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তার দাবি অনুযায়ী, বন্দরের বছরে প্রায় ২৬৪ কোটি টাকা কর দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪৫ কোটি টাকা।
শাহাদাত হোসেন বলেন, বন্দরের ভারী যানবাহনের কারণে নগরীর সড়ক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে চসিককে। ন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিশ্চিত হলে সড়ক সংস্কার কার্যক্রম আরও টেকসইভাবে করা সম্ভব হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক, সিনিয়র সহকারী সচিব শওকত ওসমান এবং সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তারাও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
মেয়র বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করাই বর্তমান নগর প্রশাসনের লক্ষ্য।
আরপি/টিএ