ঋণের শর্ত শিথিলে রাজি নয় আইএমএফ

বাণিজ্য-অর্থনীতি
মোজো ডেস্ক
২০২৫-০৪-০৮ ০৯:৪৩:৫১
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ঋণের শর্ত অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন হওয়ায় এনবিআর শর্তটি শিথিল করার জন্য আইএমএফের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। কিন্তু, আইএমএফ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিদল এনবিআর চেয়ারম্যান এবং কাস্টমস, আয়কর, ভ্যাট অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে দুই লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বাকি তিন মাসে আদায় করতে হবে এক লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা। দেশের বর্তমান বাস্তবতায় বাড়তি এ অর্থ আদায় করা ‘অসম্ভব’ তুলে ধরা হলেও তাতে সন্তুষ্ট হয়নি আইএমএফ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের বাড়তি ৫৭ হাজার কোটি টাকা কিভাবে আদায় হবে তা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, এটি অসম্ভব। আমরা তাদের এটি কমাতে প্রস্তাব দিয়েছি। তারা তাতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে আগামী বুধবার (৯ এপ্রিল) এনবিআরের তিন অনুবিভাগের সঙ্গে সংস্থাটির কর্মকর্তারা আবারও বৈঠকে বসবেন। এ শর্তপূরণ ছাড়া সমঝোতা করা না গেলে ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি দেখছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁরা বলছেন, আইএমএফের সঙ্গে এনবিআর সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়ায় শর্ত শিথিল হতে পারে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আইএমএফ চলমান ঋণের শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপি অনুপাত ০.৯ শতাংশ পয়েন্ট বাড়াতে হবে বা বাড়তি ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। তা কিভাবে আদায় হবে তার সুনির্দিষ্ট কৌশল জানাতে পারেনি এনবিআর।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে আইএমএফও কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—বিলাসী পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো, বিভিন্ন খাতে যেসব কর অব্যাহতি রয়েছে তা চলতি জুনের পর বাদ দেওয়া এবং সব পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা।

এর বাইরেও প্রশাসনিক সংস্কার, রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করা, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নের অগ্রগতি, আয়কর বিভাগের ডিজিটাইজেশন প্রকল্পের খসড়া প্রণয়নের অগ্রগতি, করপোরেট কর ও রিটার্ন অনলাইনে জমার সময়সীমা নির্ধারণও উঠে এসেছে প্রস্তাবনায়।

ঋণ কর্মসূচির শর্তের আওতায় এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে তিন মাসে এক লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে। বর্তমানে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭.৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এটি দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.৯ শতাংশ করার শর্ত রয়েছে। তাতে এ অর্থবছরে এনবিআরকে আদায় করতে হবে চার লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।

এনবিআরের সদস্য (আয়করনীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা গত অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ৭.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৪ শতাংশ করেছি। আইএমএফ আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা জানে। তারাই তুলেছে। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে বাড়তি আদায় করার। তাই তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রার যে শর্ত তা থেকে সরে আসেনি। চলতি অর্থবছরে দশমিক ৫ শতাংশ কর-জিডিপি বাড়াতে হবে।’

এরই মধ্যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন অন্তর্বর্তী সরকার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা করছে।

আরএ/এসএন


সর্বশেষ


বাণিজ্য-অর্থনীতি এর আরও সংবাদ

বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম কমল ১০ শতাংশ

স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে!

ভিয়েতনাম থেকে এলো ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল

আরও বাড়ল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানি বাজারকে আরও অস্থির করবে : বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাস আয় ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা

আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের জন্য জরুরি নয়

সিলেটে কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধন আজ

রোববার থেকে সিলেটে কার্গো ফ্লাইট শুরু

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে দেশে আসবে এলএনজি

ঢালাও দরপতনে বাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার মূলধন উধাও

মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে অস্থির পেঁয়াজ ও তেলের বাজার, বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী সোনার দাম, কিস্তিতে কেনার দিকে ঝুঁকছেন দুবাইয়ের ক্রেতারা

বেনাপোল বন্দরে চালু হলো পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং কার্যক্রম

চীনের শুল্ক ছাড়ের খবরে স্বর্ণের বাজারে স্বস্তি

নিউজরুম


01731286846

hrtimes21@gmail.com


মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Bangladeshh times google play Bangladeshh times app store

© bangladeshtimes.com সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২১-২০২২।

About Us | Terms & Conditions | Privacy Policy | Contact Us