ছবি: সংগৃহীত
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও নিয়োগের বাছাই বোর্ডে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব থাকার কারণে আইনগতভাবে তাদের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কমিটিতে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে মনোনীত হলেও তাদের স্থলে অন্য শিক্ষকদের নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ. এস. এম. কাসেমের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নাম সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে সদস্য হিসেবে মনোনয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব করে থাকে। তবে, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারাররা তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত থাকেন এবং তাদের নিয়োগপত্রের শর্তাবলীতেও ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থানের কথা উল্লেখ থাকে। এই কারণে আইনগতভাবে তাদের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এমন অবস্থায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে সদস্য মনোনয়নের জন্য উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারারের নাম প্রস্তাব না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া, যদি ইতোমধ্যে এসব কমিটিতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারাররা মনোনীত হয়ে থাকেন, তবে তাদের স্থলে অন্য শিক্ষকদের নাম প্রস্তাব করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের জন্য গঠিত বোর্ডে সাধারণত ভিসি ও প্রোভিসি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য থাকেন। তবে নিয়োগে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বোর্ডে ভিসি-প্রোভিসিদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি ওঠে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে সিন্ডিকেট গঠিত নির্বাচনী বোর্ড থাকলেও, কর্মচারী নিয়োগে ভিসি-প্রোভিসির প্রভাব বেশি দেখা যায়। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসিদের নিয়োগ বোর্ডে মনোনয়নে বাধা দিলো, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এফপি/টিএ