জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এর মোকাবিলায় এবার অভিনব এক পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্য। সূর্যের তাপ পৃথিবীতে পড়া রুখতে তারা ব্যবহার করবে জিওইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি।
এই প্রকল্পে ব্রিটিশ সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি গবেষণা সংস্থা এআরআইএ (Advanced Research and Invention Agency)-কে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডলে এমন কণা ছড়ানো হবে যা সূর্যালোক প্রতিফলিত করে পৃথিবীর দিকে আসা উত্তাপ আটকে দেবে। এতে সরাসরি মাটি পর্যন্ত সূর্যের তাপ পৌঁছাবে না, ফলে তুলনামূলকভাবে পরিবেশ শীতল থাকবে।
ইতিমধ্যে গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রপথে চলা জাহাজ থেকে নির্গত সালফার মেঘকে আরও বেশি প্রতিফলক করে তুলছে। সেই ধারণাকেই এবার বৃহৎ পরিসরে কাজে লাগানো হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এর অধ্যাপক পিটার আরভিন বলছেন, “এতে পুরো সমস্যার সমাধান হবে না, তবে কার্বন নিঃসরণ কমাতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে।”
তবে সবাই এতটা আশাবাদী নন। দুবাইয়ের কৃত্রিম বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার উদাহরণ টেনে অনেকে বলছেন—এই ধরনের প্রকল্পে প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় অব ওয়াশিংটনের বিজ্ঞানী সারা ডোহার্টি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “এই উদ্যোগ ক্যান্সারে অ্যাসপিরিন দেওয়ার মতো। কিছুটা আরাম মিলতে পারে, কিন্তু মূল রোগ যাবে না।”
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্প সফল হলে, গ্রীষ্মের তীব্রতা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসএস/এসএন