মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, ভারতের বিরুদ্ধে সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সাথে দেখা করতে রাজি হয়ে থাকতে পারেন। তিনি বলেন, সবকিছুরই একটা প্রভাব আছে। ফক্স নিউজ রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে সেকেন্ডারি শুল্ক মূলত রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে তাদের বাধা সৃষ্টি করেছে।
এই মাসের শুরুতে, রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর আরও বেশি শুল্ক আরোপের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর ফলে ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বেড়ে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছে যা যেকোনো আমেরিকান বাণিজ্য অংশীদারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।
ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত করেছেন, ভারতের উপর শুল্ক আরোপের সম্ভবত একটি ভূমিকা ছিল ট্রাম্পের সাথে পুতিনের দেখা করতে রাজি হওয়ার পিছনে।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, যখন আপনি আপনার দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রাহক হারাবেন তখন আমার মনে হয় এর একটি ভূমিকা থাকবে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সাথে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারত ওয়াশিংটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হলেও, তার বিশাল মার্কিন বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এবং রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে ট্রাম্প চেয়েছেন, ইউক্রেনের সাথে একটি শান্তি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য রাশিয়াকে চাপ দিতে।
ফলে ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আক্রমণ নয়াদিল্লিকে একটি প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
এর আগে নয়াদিল্লি ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে অন্যায়, অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে এবং তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এদিকে, ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি মূলত একটি তাৎক্ষণিক শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী এবং যদি এই বৈঠকটিতেতেমন কিছু হয়, তবে তিনি অবিলম্বে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে সেখানে যেতে বলবেন।
এছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল জেলেনস্কির সাথে দ্বিতীয় বৈঠকের আয়োজন করা। একটি চুক্তি করার জন্য।
ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সাথে বৈঠক করবেন। যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর বৈঠক হিসেবে কাজ করবে। ট্রাম্প গত সপ্তাহে ২০২১ সালের পর প্রথম মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে সম্মত হন।
সূত্র: এনডিটিভি
এমআর