ইতিহাস গড়েও সেমিফাইনাল শেষে বার্সার স্বপ্নভঙ্গ

বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে সেরা ম্যাচগুলোর একটি হয়ে থাকবে সান সিরোর সেই সেমিফাইনাল। নাটক, উত্তেজনা আর আবেগের এক দুর্দান্ত লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান। বার্সেলোনার স্বপ্নভঙ্গের রাতে দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রোমাঞ্চকর এই দ্বৈরথের দ্বিতীয় লেগে অতিরিক্ত সময়ে ৪-৩ গোলে জেতে ইতালিয়ান ক্লাবটি। সমন্বিত স্কোর ৭-৬।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে যখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইন্টার, তখন মনে হচ্ছিল, প্রথমবারের মতো এক দশক পর ফাইনালে উঠতে চলেছে বার্সা। কিন্তু অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফ্রানচেসকো আচেরবির গোল যেন গোটা ম্যাচের চিত্রনাট্যই বদলে দেয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় দাভিদে ফ্রাতেসির দারুণ গোল ইন্টারের হয়ে ইতিহাস লিখে দেয়।

সান সিরোতে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ঝড় তোলে ইন্টার। ২১ মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজ ডেনজেল ডুমফ্রিসের পাস থেকে প্রথম গোল করেন। এরপর হাকান চালহানওগলু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, আজ রাতটা হতে যাচ্ছে বিশেষ কিছু।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৫৪ মিনিটে এরিক গার্সিয়ার ভলি ও ৬০ মিনিটে দানি ওলমোর হেডে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সা। এরপর ৮৭ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় তারা।

তবে নির্ধারিত সময়ের অন্তিমে আচেরবির গোলে ম্যাচে ফেরে ইন্টার। এরপর অতিরিক্ত সময়ে দাভিদে ফ্রাতেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে আবারও এগিয়ে যায় তারা—যেটি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ী গোল হিসেবেই বিবেচিত হয়।
বার্সেলোনার পক্ষে লামিন ইয়ামাল দুইবার সুযোগ পেয়েও ইন্টারের গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের দুর্দান্ত সেভে গোল পাননি। বরং ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন এই সুইস গোলরক্ষকই, যিনি অন্তিম মুহূর্তে একের পর এক সেভে বার্সার স্বপ্নভঙ্গের কান্না নিশ্চিত করেন।

এই জয় ইন্টারকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তুলে দেয়—তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো। ৩১ মে মিউনিখে আয়োজিত ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর।

এই লড়াইয়ের ১৩ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি গোলসংখ্যার সেমিফাইনাল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে—২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুল ও রোমার মধ্যকার ৭-৬ ফলাফলকে ছুঁয়ে।

এটি শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল না, ছিল এক নাট্যনাটক, যেখানে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত থ্রিলারের স্বাদ পেয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে সাহস, প্রত্যয় আর লড়াইয়ের মানসিকতা—যার নাম ইন্টার মিলান।

ফুটবলের ইতিহাসে সেরা ম্যাচের তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার মতো এক ম্যাচ দেখলো পুরো বিশ্ব। উত্তেজনা, নাটকীয়তা আর হৃদয় ভাঙা গল্পে ঠাসা সেই সান সিরোর সেমিফাইনাল—যেখানে বার্সেলোনার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দ্বিতীয় লেগে অতিরিক্ত সময়ে ৪-৩ গোলে জয় পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। সমষ্টিগতভাবে ফল ৭-৬।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে যখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইন্টার, তখন মনে হচ্ছিল, প্রথমবারের মতো এক দশক পর ফাইনালে উঠতে চলেছে বার্সা। কিন্তু অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফ্রানচেসকো আচেরবির গোল যেন গোটা ম্যাচের চিত্রনাট্যই বদলে দেয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় দাভিদে ফ্রাতেসির দারুণ গোল ইন্টারের হয়ে ইতিহাস লিখে দেয়।

সান সিরোতে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ঝড় তোলে ইন্টার। ২১ মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজ ডেনজেল ডুমফ্রিসের পাস থেকে প্রথম গোল করেন। এরপর হাকান চালহানওগলু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, আজ রাতটা হতে যাচ্ছে বিশেষ কিছু।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৫৪ মিনিটে এরিক গার্সিয়ার ভলি ও ৬০ মিনিটে দানি ওলমোর হেডে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সা। এরপর ৮৭ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় তারা।

তবে নির্ধারিত সময়ের অন্তিমে আচেরবির গোলে ম্যাচে ফেরে ইন্টার। এরপর অতিরিক্ত সময়ে দাভিদে ফ্রাতেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে আবারও এগিয়ে যায় তারা—যেটি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ী গোল হিসেবেই বিবেচিত হয়।

বার্সেলোনার পক্ষে লামিন ইয়ামাল দুইবার সুযোগ পেয়েও ইন্টারের গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের দুর্দান্ত সেভে গোল পাননি। বরং ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন এই সুইস গোলরক্ষকই, যিনি অন্তিম মুহূর্তে একের পর এক সেভে বার্সার স্বপ্নভঙ্গের কান্না নিশ্চিত করেন।

এই জয় ইন্টারকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তুলে দেয়—তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো। ৩১ মে মিউনিখে আয়োজিত ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর।
এই লড়াইয়ের ১৩ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি গোলসংখ্যার সেমিফাইনাল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে—২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুল ও রোমার মধ্যকার ৭-৬ ফলাফলকে ছুঁয়ে।

এটি শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল না, ছিল এক নাট্যনাটক, যেখানে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত থ্রিলারের স্বাদ পেয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে সাহস, প্রত্যয় আর লড়াইয়ের মানসিকতা—যার নাম ইন্টার মিলান।

আরএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুদকে শেখ হাসিনা ও সাবেক বিমান সচিব মোকাম্মেলকে তলব May 07, 2025
img
৫০ শয্যার হাসপাতাল চালাচ্ছেন তিন চিকিৎসক, দুর্ভোগে রোগীরা May 07, 2025
img
ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের ‘অজানা’ বিমান ভূপতিত May 07, 2025
img
ভারতে হামলার আতঙ্ক, কাশ্মীরে স্কুল-কলেজ বন্ধ May 07, 2025
img
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন: হাসনাত May 07, 2025
img
নারী কমিশন রিপোর্ট নিয়ে অবমাননাকর ভাষার প্রতিবাদ গণসংহতির May 07, 2025
img
কাশ্মীর সীমান্তে পাক-সেনাদের গুলিতে ৩ ভারতীয় নিহত May 07, 2025
img
‘যুদ্ধ শুরু করেছে ভারত, শেষ করবে পাকিস্তান’- সিরাজ-উল-হক May 07, 2025
img
রাতভর ‘অপারেশন সিন্দুর’ পর্যবেক্ষণে মোদি May 07, 2025
img
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে হামলা : ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের May 07, 2025