বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সেতু ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা মূলত মানবসৃষ্ট সমস্যা। তিনি দাবি করেন, অতীতে যারা নগরপিতা ও সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য দায়ী।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নিজস্ব অর্থায়নে বির্জাখাল খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘খননের পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে খাল পরিষ্কারের পর আবারও ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেটা করলে খাল পরিষ্কার করে লাভ নেই। আমরা ১০ হাজারের মতো ডাস্টবিন দিয়েছি। এখন থেকে সেগুলোতে ময়লা ফেলবেন। ময়লা বিনে না ফেললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি। বিনগুলোকে নিজেদের যত্ন করতে হবে। বিন হারিয়ে গেলে যার এলাকা থেকে হারিয়ে যাবে তাকে জরিমানা দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যা কিছু করা দরকার সব কিছু আমরা করব। যে বা যারা কাজ করতে আগ্রহী সবাইকে আমরা কাজ করার সুযোগ দিয়েছি। এখন নাগরিকদের পালা, খালকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তাদের। একদিকে খাল খনন করার পর আরেক দিকে ময়লা ফেলা হলে কাজের কাজ কিছু হবে না।’ উপদেষ্টা নগরবাসীর কাছে জলাবদ্ধতা নিরসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে আমরা নগরকে গ্রিন, হেলদি সিটি করার কাজ করছি। দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। তাহলেই আমরা শহরকে সুন্দর রাখতে পারব।’ বির্জাখালের খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করায় তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ জানান।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘২৪ দিনের মাথায় উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসায় আমাদের নেতাকর্মীরা উৎসাহিত হয়েছেন। এটা তিন হাজার ফুট, আমরা প্রায় ১৮০০ ফুট কাজ শেষ করেছি। বাকি অংশটুকু আমরা ঈদুল আজহার আগে শেষ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’ এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন যেভাবে সহযোগিতা করছেন, আগামী দিনেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সেভাবে সহযোগিতা করবেন।’
এসএস/টিএ