ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যের নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।বুধবার (১৪ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ দাবি করেন।
তারা বলেন, ক্যাম্পাস এলাকায় বহিরাগতদের হাতে শিক্ষার্থীর খুন হওয়া দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য অশনিসংকেত। শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকা নিরাপদ রাখা অপরিহার্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকা বহিরাগত অপরাধীদের অবাধ বিচরণস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই, মাদকসেবন ও শিক্ষার্থীদের হেনস্তার মতো অপরাধ প্রায়ই সংঘটিত হচ্ছে।
নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একক প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য। এজন্য প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং জনসাধারণের সমন্বিত উদ্যোগ। আমরা দেখেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিধানে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ নানা উদ্যোগ নিলেও একটি গোষ্ঠী বরাবরই সে প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে আসছেন। এমন দৃষ্টিভঙ্গি শুধু অপরাধীদের উৎসাহিত করে না; বরং শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎকেও হুমকির মুখে ফেলে।
তারা আরও বলেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী দিনে কী পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে, সাম্য হত্যাকাণ্ড তার উদাহরণ। এই হত্যাকাণ্ড ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অপরাধীদের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠার দায় সরকার ও প্রশাসন এড়াতে পারে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
সেইসঙ্গে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে অপরাধপ্রবণ ক্যাম্পাসগুলোতে সর্বত্র সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা, মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য দূরীকরণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এমআর/এসএন