জাপানের কাছে আরও অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স বা বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) লোন সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া কৌশলগত অংশীদারত্বের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করবে উভয় দেশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) টোকিওতে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে এ আলোচনা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ আরও বেশি ওডিএ রেয়াতি লোন ও এর পরিশোধের সময়কাল বাড়ানো এবং বাজেট সহায়তার জন্য জাপানের সহায়তা চেয়েছে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে জাপানের পক্ষ বলেছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) দ্রুত তাদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জাপান তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
বৈঠকে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভসের (বিগ-বি) অধীনের পক্ষ বলেছে যে, উচ্চমানের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিশ্চিতের জন্য জাপান ও বাংলাদেশের সাথে আরও জোরালোভাবে সম্পৃক্ত থাকবে।
মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বিগ-বি উদ্যোগের নতুন পরিকল্পনার আওতায় জাপান এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন দেখতে চায়।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৯-৩০ মে জাপানের টোকিওতে নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ষষ্ঠ এফওসিতে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. মো. নজরুল ইসলাম। জাপানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আকাহোরি তাকেশি।
বৈঠকে উভয়পক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ‘জাপান-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারত্বের অধীনে নিরাপত্তা, অর্থনীতি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়ে এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে মতামত বিনিময় করবে।
এসএন