ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোড এখন ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ফারহান ফাইয়াজের নামে সড়কের ফলক উন্মোচন করল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ শনিবার ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডে সড়কের নামকরণ করেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডে রাপা প্লাজা এবং জেনেটিক প্লাজার মাঝামাঝি স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফাইয়াজ) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

সড়কের ফলক উন্মোচন শেষে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান বলেন, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মেধাবী ছাত্র শহীদ ফারহান ফাইয়াজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখানে শহীদ হন। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা শাহাদত বরণ করেছেন ফারহান ফাইয়াজ তাদের মধ্যে অন্যতম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর সড়কটির নাম পরিবর্তন করে আজ শহীদ ফারহান ফাইয়াজের নামে নামকৃত ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা বৈষম্যবিরোধী একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে মহৎ উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছেন, সে মহৎ উদ্দেশ্য যতদিন না বাস্তবায়ন হয় ততদিন আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একমাত্র ছেলে শহীদ হওয়ায় আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ফাইয়াজের নামে এই সড়কটি নামকরণ করায় আমি অন্তর্বর্তী সরকার ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে স্মরণীয় করে রাখা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অতিথিরা নামকৃত ফলক উন্মোচন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং সব বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

আ. লীগের যারা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য তারা বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন May 17, 2025
ঢাকা সেনানিবাসের চারপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ May 17, 2025
img
দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম আসা কোনো রোগ নয়তো? May 17, 2025
img
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত May 17, 2025
img
‘একেনের চরিত্রে আমাকে আর দেখা যাবে না’ May 17, 2025
img
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি ইমনের May 17, 2025
নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সেনাসদস্য গ্রেপ্তার May 17, 2025
img
পর্তুগালে নির্বাচনে বামপন্থিদের জয়ের দিকে তাকিয়ে অভিবাসীরা May 17, 2025
img
আখতার হোসেনকে পরিবারসহ হত্যার হুমকি May 17, 2025
img
অব্যাহতি আদেশের পর নারী সমন্বয়ক লিজা যা বললেন May 17, 2025
img
জনগণ ভোট দিলে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জামায়াত :শফিকুর রহমান May 17, 2025
img
এই সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা : সালাহউদ্দিন আহমেদ May 17, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোতে নিহত ২১, ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো ঘরবাড়ি May 17, 2025
img
জন্মদিনে আরও কাছাকাছি বনি-কৌশানী May 17, 2025
img
শুরু হচ্ছে অভিযান; মোদির নতুন নিয়মে ভারত ছাড়তে হবে পলাতক আ. লীগ নেতাদের ! May 17, 2025
img
বাহরাইনের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ May 17, 2025
img
সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে : তারেক রহমান May 17, 2025
img
ছেলেকে থানায় দিয়ে বিএনপি নেতার ফেসবুকে পোস্ট May 17, 2025
img
সিরাজগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেফতার May 17, 2025
img
২৩ লাখ টাকায় বিক্রি হলো কুকুর-হরিণের মতো দেখতে ‘বিরল’ ছাগল May 17, 2025