শিশু ও টিনএজারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্লাটফর্মটির প্রভাব নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা ও মামলায় জর্জরিত টিকটক।
বর্তমানে অ্যাপটি ধ্যান বা মেডিটেশনের দিকে ঝুঁকেছে, বা বলা ভালো, ব্যবহারকারীদের গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের শান্তিদায়ক প্রভাবের দিকে পথ দেখাতে চাইছে টিকটক।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি নতুন মেডিটেশন ফিচার চালু করতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
বৃহস্পতিবার টিকটক জানায়, নিজেদের অ্যাপের ভেতরেই গাইডেড মেডিটেশন ও অন্যান্য মানসিক সুস্থতা বাড়ানোর মতো ফিচার চালু করছে তারা, যা মূলত তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করেছে কোম্পানিটি।
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন কোম্পানি টিকটক জানায়, এ বছরের শুরুতে তাদের কিছু নির্বাচিত টিনএজারের মধ্যে নতুন মেডিটেশন ফিচার নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছিল তারা। বর্তমানে এগুলো সকল বয়সের ব্যবহারকারীর জন্য আনবে প্লাটফর্মটি।
কোম্পানিটি আরও জানায়, ব্যবহারকারীদের ঘুমে উন্নতির লক্ষ্যে তৈরি এই মেডিটেশন ফিচারটি ‘ঘুমের সময়’ চালু হবে এবং ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য এটি ডিফল্টরূপেই চালু থাকবে।
কোনো তরুণ ব্যবহারকারী যদি রাত ১০টার পরও টিকটক ব্যবহার করে তবে তাদের ‘ফর ইউ’ ফিডে গাইডেড মেডিটেশন এক্সারসাইজ ফিচারটি চালু হয়ে যাবে। এরপরও যদি ব্যবহারকারী টিকটক ব্যবহার করতে থাকে তাহলে দ্বিতীয়বারের জন্য অ্যাপটি ফোনের স্ক্রিনে মেডিটেশন প্রম্পট দেখাবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে টিকটক যে মেডিটেশন ফিচার আনার ইঙ্গিত দিয়েছিল তা এসেছে আরও কিছু নতুন ফিচারের সঙ্গে। যার মধ্যে রয়েছে, নতুন শিক্ষামূলক ফিড, অনলাইন নিরাপত্তা টুল ও স্ক্রিন টাইমের ওপর উন্নত প্যারেন্টাল কন্ট্রোল বা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণ।
তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য সুস্থ ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে টিকটক। কারণ তরুণদের ওপর প্ল্যাটফর্মটির প্রভাব নিয়ে অনেক অভিযোগ ও মামলা চলছে অ্যাপটির বিরুদ্ধে। এসবের মধ্যেই এ নতুন ফিচার আনছে কোম্পানিটি।
গত বছর তরুণ ব্যবহারকারীদের ওপর অ্যাপটির প্রভাব নিয়ে টিকটকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক ডজনেরও বেশি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল।
ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়ালবের মামলায় দাবি করা হয়েছে, টিকটককে তৈরিই করা হয়েছে আসক্তি জাগানিয়া হিসাবে। আর এটি শিশুদের জন্য মানসিকভাবে ক্ষতিকর। ফলে বিষণ্নতা, উদ্বেগ, ঘুমের অভাব ও দেহের বিকৃতি’সহ নানা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে শিশুদের।
এসএস/এসএন