পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে সফলতার অন্যতম অংশীদার হবেন সরকারি কর্মকর্তারা। আপনাদের ওপর সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে বিভাগের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বরত ও উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই সরকারের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে যায়। তাই কেউ যেন সেবা বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সরকার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও চেষ্টা করছে সব সমস্যার সমাধান করতে। বিগত সরকারের সময়ে ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সবার আন্তরিকতায় খুব দ্রুতই এসব ধকল কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আমি আশাবাদী।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসন আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মইনুল হক আনছারী ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও রেঞ্জ ডিআইজি, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা।
সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকরা।
এর আগে একই স্থানে ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২ : জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফলাফল শীর্ষক প্রচার ও তথ্য উপস্থাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বরিশাল মূলত কৃষিনির্ভর অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি ও পানির প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জমির উর্বরতা কমে যাওয়া এবং কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার না করার ফলে কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তিনি জানান, সরকার কৃষির সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষিত ও দক্ষ লোকেরা কৃষিতে মনোনিবেশ করলে বেকারত্ব কমার পাশাপাশি শস্যের উৎপাদন বাড়বে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্পায়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা অত্যন্ত জরুরি। বরিশালকে শিল্পসমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয় লেনের সড়ক প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এসএম/টিএ