বিশেষ আইন, স্যাবোটাজ ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও খাদ্য উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে স্কটসহ শম্ভুকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়। পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে শুনানিকালে শম্ভুর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানালেও বিচারক মো. মনিরুজ্জামান তা নামঞ্জুর করেন।
শম্ভুকে আদালতে তোলার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান এবং আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘ভোট চোর’, ‘ভুয়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শম্ভুর গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আদালত এলাকায় নৌবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বরগুনায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় ৩০ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রয়াত বিএনপি নেতা এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলায় শম্ভুকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা শম্ভুকে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। এরপর তাকে নিউমার্কেট থানায় ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় এবং আশুলিয়া থানার আরও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নুরুল আমিন বলেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তিনি একজন অপরাধী। জামিন না দেয়ার আবেদন করেছি এবং আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। তিনি আরও জানান, শম্ভুর বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ থাকলে সেটিও রাষ্ট্রপক্ষ তুলে ধরবে।
এসএন