নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শফিকুল ইসলাম শফু (৪২) নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে বাকলজোড়া ইউনিয়নের আব্বাসনগর গ্রামে। নিহত শফু ওই গ্রামের মৃত তারাব উদ্দিনের ছেলে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,
“রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আমরা সংবাদ পাই যে বাকলজোড়া ইউনিয়নের আব্বাসনগর গ্রামে আইনজীবী হাফিজুর রহমান রাশেদের বাসায় কিছু লোকজন হামলা করেছে। আমরা সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে চলে আসি। এসে আমরা দেখতে পাই একজন নিহত হয়েছেন এবং চার-পাঁচজন লোক আহত হয়েছেন। যিনি নিহত হয়েছে তার নাম মো. শফিকুল ইসলাম (শফু)। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।”
ওসি আরো বলেন, “মো. হামিদুর রহমান আব্বাসের ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টানানো নিয়ে প্রতিপক্ষ জালাল মাস্টারের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে তাদের বাড়িঘরে হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে শফিকুল ইসলাম নিহত হন। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি, আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আমরা তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।”
আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা চলমান আছে। পরবর্তীতে বাদী পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে। ইতিমধ্যে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে মরদেহ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ড. মো. হামিদুর রহমান রাশেদ দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে বলেন, ২২ মে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় তার লোকজন দুর্গাপুর শহরে বিলবোর্ড স্থাপন করতে গেলে, জামাল মাস্টারের নেতৃত্বে আরো কিছু লোক বিলবের্ড টানাতে বাধা নিষেধ করে করে। এবং ৪০টি বিলবোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে ভাঙচুর করে জানিয়ে তিনি থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন।
আরএ/টিএ