কর্মব্যস্ত এক সকালে হঠাৎই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অফিসে হাজির হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কোনো পূর্ব নোটিস ছাড়াই এই ‘ঝটিকা সফর’ ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন ABVP-র মধ্যে।
বর্তমানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন NSUI-এর সদস্য রোনাক ক্ষত্রী। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে রাহুল প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান সংসদ অফিসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর রজনী আব্বি এক বিবৃতিতে জানান, "কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে হঠাৎই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়েন রাহুল গান্ধী। পুরো সময় তাঁর নিরাপত্তাবাহিনী অফিস ঘিরে রাখে। এমনকি সংসদের সচিব পর্যন্ত অফিসে ঢুকতে পারেননি। NSUI সদস্যদের দ্বারাই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়।"
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবিভিপি। ছাত্র সংসদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ বর্তমানে এই সংগঠনের দখলে। এবিভিপি এক বিবৃতিতে রাহুলের সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখে, “যেমন বাতিল হওয়া অভিনেতা হঠাৎ কোনও নাটকে ঢুকে পড়ে, তেমনই রাহুল গান্ধী এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে—অপ্রাসঙ্গিক, অনাহূত, অপ্রয়োজনীয়।” সংসদের সচিব ও এবিভিপি নেত্রী মিত্রাবিন্দা করনওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “রাহুল ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ও নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেছেন।”
উল্লেখ্য, এটি প্রথমবার নয়। বছর দুই আগে হঠাৎ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ছাত্রাবাসেও গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে কিছু পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিল। কারণ, হস্টেল চত্বরে রাজনৈতিক বা অশিক্ষা-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও ফের একইভাবে ‘অনুপ্রবেশ’-এর অভিযোগ উঠল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে।
টিকে/টিএ