গণসংহতি আন্দোলন দাবি জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচার করতে হবে এবং একইসঙ্গে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, বাংলাদেশে অভ্যুত্থান-পরবর্তী গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য বিচারপ্রক্রিয়ায় গতি নিয়ে আসা এবং সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা হলো অভ্যুত্থানকারী সব রাজনৈতিক শক্তির অনুমোদন ও সমর্থন। ফলে এই ঐক্যের শক্তির ওপর দাঁড়িয়েই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা তৈরি করতে হবে।
জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব প্রভৃতি বিষয়ে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠাই রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সব প্রথা, প্রতিষ্ঠান, আইন ইত্যাদির কাজ। জনগণের কাছে সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী বাংলাদেশে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখার চেষ্টা করা এখন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর জন্য জরুরি কর্তব্য।
সংঘাত নয় বরং এই ঐক্যের পথেই বাংলাদেশ তার নতুন রাজনৈতিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণসংহতি সব দলকে সংঘাত নয় বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য কমিয়ে আনার এবং পরস্পরের অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন বিষয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানায়।
আরএ/এসএন