যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩৯০ জন

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (৩০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানায়।

আইএসপিআর জানায়, এ সব যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ মোট ৩৯০ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটর সাইকেল, চোরাই মোবাইল ফোন, ওয়াকি-টকি, পাসপোর্ট, জালনোট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলসমূহে সম্ভাব্য অস্থিরতা রোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুরহাটে সার্বক্ষণিক নজরদারী, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি, ঈদ যাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রতিদিন ২০ কেজি খাবার খায় ‘ঈশা খাঁ’, দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ May 31, 2025
img
‘মেয়েদের সব কিছু মেনে নিতে হয়’, এই ধারণা ভাঙতে চান সুরভিন May 31, 2025
img
দুঃসময়ের স্মৃতি গুলো আজো তাড়া করে সুরভীনকে May 31, 2025
img
ম্যাক্রোঁ দম্পতিকে ‘পারিবারিক শান্তি বজায় রাখার’ পরামর্শ দিলেন ট্রাম্প May 31, 2025
img
উটের আকর্ষণে জমজমাট চট্টগ্রামের কোরবানির হাট, দাম চড়া May 31, 2025
img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার May 31, 2025
img
আট ঘণ্টার শিফট বিতর্কে মুখ খুললেন সাইফ , দীপিকাকে বললেন ‘সঠিক’ May 31, 2025
img
রাজনীতির অপচর্চাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান অন্তরায় : ডিএনসিসি প্রশাসক May 31, 2025
img
বিএসএফের পুশ ইন নিয়ে সীমান্তে রাতভর চলেছে উত্তেজনা May 31, 2025
img
‘সুযোগ চাই’, বিসিবির চেয়ার নিয়ে আশায় সৈয়দ আশরাফুল হক May 31, 2025
img
রোববার ঘোষণা হবে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায় May 31, 2025
img
শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : তারেক রহমান May 31, 2025
img
ধারাবাহিকে কাজ নেই, ছেলের সঙ্গে বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন স্নেহা May 31, 2025
img
মিশন হেক্সা: রিয়ালের ছাঁচে ব্রাজিল স্কোয়াড গড়বেন আনচেলত্তি May 31, 2025
img
সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আর নেই May 31, 2025
এআই যুগে অ্যাপল কি পেছনে পড়ছে? May 31, 2025
img
পোশাক কারখানাগুলোতে আর গ্যাস সংকট থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা May 31, 2025
img
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি May 31, 2025
img
জীবিত ব্যক্তিকে ‘জুলাই শহীদ’ বানিয়ে মামলা May 31, 2025
img
আমরা মানুষ চিনতে ভুল করেছি : গয়েশ্বর May 31, 2025