দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং করতে রাজি নন দীপিকা পাড়ুকোন। এর পর থেকেই সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে দীপিকা বনাম সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা তরজা। ‘স্পিরিট’ ছবিতে অভিনয় করার জন্য কয়েকটি শর্ত রেখেছিলেন দীপিকা। দিনে ৮ ঘণ্টা শুটিং করবেন এবং ২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেবেন। ছবির নির্মাতারা মেনে নেননি অভিনেত্রীর দাবি। তার পরেই বাদ পড়তে হয়েছে তাকে। এই প্রসঙ্গে দীপিকার নাম না করে তাকে ‘নারীবাদ’ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কাজল।
অভিনেত্রী জানান, তিনিও জীবনে টানা ২০ ঘণ্টা কাজ করেননি। বরং পরিবারকে সময় দেওয়া তার জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। অভিনেত্রী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি একসঙ্গে একাধিক ছবির কাজে হাত দিই না। অন্য অভিনেতাদের মতো একসঙ্গে চারটি ছবিতে কোনও দিন অভিনয় করিনি। একটা ছবি শেষ করে অন্য ছবির কাজ শুরু করতাম।” এখানেই শেষ নয়। অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি কোনও দিনই টানা ২০-৩০ ঘণ্টা কাজ করিনি। আমার কাছে স্পষ্ট ছিল, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই আমি কাজ করব।”
কন্যা নাইসা দেবগানের জন্মের পরেও এই বিষয় নিয়ে স্বামী অজয় দেবগানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি। কাজল বলেছেন, “২০০৮ সালে আমি ‘ইউ মি অউর হম’ ছবির শুটিং চলছিল। আমার বাবা হাসপাতালে ছিলেন। নাইসার বয়স তখন ২ বছর। এই পরিস্থিতিতে ছবির প্রযোজক হিসাবে অজয় সবটা সামাল দিয়েছিল। ওই দেখেছিল, যাতে আমি দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারি।”
আরআর