তেল আবিবে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনার পর দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি।
রবিবার (১৫ জুন) গভীর রাতে ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের ফলে তেল আবিবে কেঁপে ওঠে মার্কিন দূতাবাস ভবন। এতে জানালা ও কাঁচ ভেঙে পড়ে, যদিও দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী আহত হননি বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হাকাবি এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “ইরানের হামলায় মার্কিন দূতাবাস শাখা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ আহত হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে দূতাবাস ও কনস্যুলেট সোমবারের জন্য বন্ধ থাকবে এবং সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দূতাবাসের আশপাশে বিস্ফোরণে জানালার কাচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। হামলার পরপরই কর্মীদের জরুরি নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্থাপনার ওপর সরাসরি প্রথম বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে—বিশেষ করে ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে।
ইরানের এ হামলায় ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৯২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আদোম’।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এরই প্রতিক্রিয়ায় ইরান এ পাল্টা হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তীব্র এই সংঘর্ষের কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে মার্কিন এক সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, তারা যেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ওপর সরাসরি হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “তাদের চুক্তির পথে এগোনো উচিত। তবে অনেক সময় তার আগে লড়াই করেই সমঝোতায় আসতে হয়।”
আরএম/টিএ