দশ বছরের অভিনয়জীবন কিন্তু আলো-ঝলমলে প্রচার থেকে বেশ দূরেই থাকেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। নাসিরুদ্দিন শাহ, আদিল হুসেন, অভয় দেওলের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন তিনি, তবু নিজের প্রচার নিয়ে কোনও বাড়তি আয়োজন নেই।
দক্ষিণ কলকাতার মেয়ে অমৃতার শৈশব কেটেছে শিল্প-সংস্কৃতির বাতাবরণে। বাড়িতে ছিল নাটক, সিনেমা আর সঙ্গীতের পরিবেশ। বাবার পেশা বিনোদন সাংবাদিকতা হওয়ায় ছোট থেকেই চলচ্চিত্র জগতের রঙিন দিক যেমন দেখেছেন, তেমনি চেনা হয়েছে এই জগতের কঠিন বাস্তবতাও।
অমৃতা নিজেই বলেন, “আমি বরাবর কাজের মাধ্যমেই সুযোগ পেয়েছি। তবে এখন আর শুধু ভালো কাজ করলেই আলোচনায় থাকা যায় না। নিজেকে প্রচারের জন্য সামনে আনার যে ক্ষমতা দরকার, সেটা আমার নেই।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি চাই ব্যক্তিগত জীবনটা কাজের বাইরে রাখতে। কখনও ভাবি হয়তো আমি আলোচনায় আসতে পারি না, কিন্তু তাই বলে আমার অভিনয় খারাপ তা নয়। বন্ধুত্ব বলতে স্কুল-কলেজের পুরনো বন্ধুরাই আছে। কাজের জগতে হয়তো সখ্য হয়, কিন্তু গভীর বন্ধুত্ব নেই।”
অভিনয়ের প্রতি একাগ্রতাই তাঁর আসল শক্তি। প্রচারের চমক নয়, নিজের কাজে সততা বজায় রাখাই অমৃতার লক্ষ্য। কাজের বাইরে যে জীবন তা নিয়ে তিনি খুব সংরক্ষিত। সেখানেই মিশে আছে তাঁর ব্যক্তিগত আনন্দ, দুঃখ আর স্বপ্ন।
এফপি/ এসএন