নির্বাচন পিছিয়ে দিতেই অন্তর্বর্তী সরকার মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, মব যারা তৈরি করছেন বা মব থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা সরকারের প্রশ্রয় পাচ্ছেন। নির্বাচন যত দূর সম্ভব পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশন টক শো অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট কারো স্থাপনায় হামলা ও মাজার ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এসব দেখতে দেখতে আমরা এমন একসময়ে আসলাম, যখন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বললেন- ছাত্ররা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন এবং তারা চাইলে যেকোনো দিনই তিনি চলে যাবেন। এর মাধ্যমে এই মবকে উনি এক ধরনের প্রশ্রয় দিলেন। তিনি সরাসরি না বললেও তার কাজকর্ম ও আচার-আচরণের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দিলেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ৩২ নাম্বার ভাঙা কিংবা এরপর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা আসা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
তিনি বলেন, ঘটনাগুলোর একটা প্যাটার্ন আছে, একটি বার্তা আছে। ‘এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন করা যায় না’ বক্তব্যের মাধ্যমে এই বার্তাই জামায়াতের আমির দিলেন।
তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সরকারের একটা বড় অংশ চাইছে নির্বাচনটিকে যত দূর সম্ভব পিছিয়ে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, এ ধরনের অস্থিতিশীলতা আর মবতন্ত্র যদি চলতে থাকে, তবে আমি কী করে গ্যারান্টি দেব যে আমার ভোটগুলো আমার বাক্সে ঠিকমতো গিয়ে পড়বে।
বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, বিএনপি ছাড়া যত ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল মাঠে আছে, তাদের জন্য নির্বাচন যত দেরি হয় ততই ভালো। তাই খুবই ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে এ রকম একটা অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে শুধু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।
কেএন/টিকে