হামজা-জামালদের মতো লাল সবুজ জার্সি গায়ে চাপানোর অপেক্ষায় ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার মিনহাজ চৌধুরী। বাফুফের ট্রায়াল নিয়ে ইতিবাচক তরুণ এই ফুটবলার। তবে স্ট্রাইকারদের নিয়ে আলাদা কোন সেশন না থাকায় কিছুটা হতাশ হতে হয়েছে তাকে। সঙ্গে দেশ ও দেশের বাইরের ট্রায়ালের পার্থক্যও জানান মিনহাজ।
স্ট্রাইকার খরায় ভুগতে থাকা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় একজন হতে পারেন মিনহাজ চৌধুরী। বাংলাদেশে তার ফুটবলের হাতেখড়ি হলেও, বর্তমানে খেলছেন ইংল্যান্ডের ক্লাব রয়েল হল্ডওয়েতে। তবে দেশের মায়া এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মিনহাজ। ৫ হাজার মাইল দূর থেকে এসে, বাফুফের ট্রায়াল দিয়েছেন তিনি। যে অভিজ্ঞতা সময় সংবাদে তুলে ধরেন সিলেটের এই তরুণ।
ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার মিনহাজ চৌধুরী বলেন, 'অভিজ্ঞতা ভালোই হয়েছে। সত্যি বলতে, এটা বড় প্ল্যাটফর্ম জাতীয় দলের জন্য ট্রায়াল দেয়া। তো আমার জন্য ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। একটু কষ্ট হয়েছে আমার জন্য, তবে এটা আমাদের মানিয়ে নিতেই হবে।'
এর আগেও ইংল্যান্ডের বেশ কিছু ক্লাবে ট্রায়াল দিয়েছেন প্রবাসী এই ফুটবলার। তাই দেশ ও দেশের বাইরের ট্রায়ালের মধ্যে পার্থক্যটাও ভালোভাবেই আঁচ করতে পেরেছেন মিনহাজ।
ইংল্যান্ডের প্রবাসী এই ফুটবলার বলেন, 'ইংল্যান্ডে আমি কয়েকটা ক্লাবে ট্রায়াল দিয়েছি আগে। এখানে একটু ভিন্ন। সেখানে ফিটনেস (বিপ) টেস্টটা আগে করায়, খেলোয়াড়দের বল নিয়ন্ত্রণ দেখে পজিশন বুঝে একজন খেলোয়াড়ের। এছাড়াও সবকিছুই দেখে। খেলোয়াড়দের পজিশন অনুযায়ী যদি ট্রায়ালগুলো নেয়া হতো তাহলে ভালো হতো আমি মনে করি।'
দেশে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে বাফুফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মিনহাজ। তবে ট্রায়ালে স্ট্রাইকারদের নিয়ে আলাদা কোনো সেশন না থাকায় কিছুটা হতাশ এই স্ট্রাইকার।
মিনহাজ বলেন, 'আমি কিন্তু স্ট্রাইকার, তবে আমার রাইট উইংয়ে খেলতে হয়েছে। আমার একটু আক্ষেপ ছিল। এই ট্রায়ালে কিন্তু স্ট্রাইকার অনেক কম ছিল। তো স্ট্রাইকারদের নিয়ে যদি একটি আলাদা সেশন করা হতো তাহলে ভালো হতো।'
জাতীয় দলে হামজা-জামালরাই মিনহাজকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। একসময় তাদের মতো লাল সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে চান এই তরুণ ফুটবলার।
কেএন/টিকে