প্রথমবারের মতো ব্রিকসের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে ব্রিকসের বিভিন্ন সম্মেলনে সক্রিয় থাকলেও, এবার তার অনুপস্থিতি কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের সম্মেলনে চীনের হয়ে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। চলতি বছর সম্প্রসারিত ব্রিকসে নতুন ৫টি দেশ- মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইরান যোগ দেওয়ার পর এটি প্রথম সম্মেলন। এমন পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি কূটনৈতিকভাবে বেশ লক্ষণীয়।
এদিকে চীনা প্রেসিডেন্টের না যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ দেখছেন বিশ্লেষকরা। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক এক অধ্যাপক বলেন, ‘ব্রিকস গোষ্ঠী চীনের কৌশলগত পররাষ্ট্রনীতির অংশ। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির ফলে চাপ কিছুটা কমায় শি এখন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকটের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।’
শি জিনপিংই একমাত্র অনুপস্থিত নেতা নন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই সম্মেলনে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না। ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধসংক্রান্ত অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় ব্রাজিল সফর করছেন না তিনি।
তবে চীনা প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিকে ব্রাজিল নেতিবাচকভাবে দেখবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে জি২০ সম্মেলনে শি ব্রাজিল সফর করেছিলেন, অপরদিকে মে মাসে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা চীন সফর করেছেন। দুই দেশের মধ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও বেশ দৃঢ়ই রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি কূটনৈতিক বার্তা না হয়ে বরং সময়োপযোগী বাস্তবতার প্রতিফলন। চীন এখন বৈশ্বিক প্রভাবের পাশাপাশি নিজেদের অর্থনৈতিক ভীত শক্ত করতে চায় এবং এই মুহূর্তে সেটাই তাদের অগ্রাধিকার।
টিকে/