অভিনয়ের পরিসরে যেমন রোমান্টিক কোমলতা, তেমনি আছে রক্তগরম অ্যাকশন-এই দুই মেরুকে একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে ভারতীয় সিনেমায় নিজস্ব আসন গড়ে তুলেছেন থালাপতি বিজয়। পঞ্চাশ পেরিয়ে এলেন এই সুপারস্টার, যার প্রতিটি সিনেমা যেন একেকটি উৎসব। ‘জানা নায়াগান’ হতে পারে তাঁর শেষ ছবি, এমন খবরে ভক্তদের হৃদয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-আনন্দ, বেদনা আর অসংখ্য স্মৃতি।
তাঁর ক্যারিয়ারের এক একটি সিনেমা যেন ভারতীয় গণমানুষের আবেগের চিত্রপট। ‘থুপাক্কি’তে তাঁর ঠান্ডা মাথার গোয়েন্দা, ‘ঘিলি’তে সাধারণ এক খেলোয়াড়ের অজানা নায়ক হয়ে ওঠা, কিংবা ‘মার্সাল’-এ একসঙ্গে তিনটি ভিন্ন চরিত্রে আবির্ভাব-সবই দর্শকের মনে স্থায়ী দাগ কেটেছে।
‘মাস্টার’ ছবিতে দেখা যায় ভিন্ন এক বিজয়-নেশায় ডুবে থাকা এক অধ্যাপক, যিনি হয়ে ওঠেন সমাজের দর্পণ। আবার ‘কাঠতি’ সিনেমায় তিনি দ্বৈত চরিত্রে একদিকে স্বার্থপর অপরাধী, অন্যদিকে সংগ্রামী কৃষকদের কণ্ঠস্বর। প্রতিটি ছবিতে তাঁর অভিনয় শুধু বিনোদনের উপকরণ নয়, বরং একেকটি সামাজিক বার্তা।
এই পঞ্চাশোর্ধ নায়কের সাম্প্রতিক ছবি ‘লিও’ প্রমাণ করেছে, তার আগুন এখনও নিভে যায়নি। এক সাধারণ ক্যাফে মালিকের পেছনে থাকা অন্ধকার অতীত দর্শককে চমকে দিয়েছে। আর ‘থেরি’-তে তাঁর বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে আবেগঘন এক টানে।
থালাপতি বিজয় এখন শুধু এক অভিনেতার নাম নয়, এক পর্ব, এক যুগের প্রতীক। তাঁর সিনেমা মানেই হলে ভিড়, টিভির সামনে অপেক্ষা, কিংবা ওটিটি-তে রাতজাগা। ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে তাঁর স্থান অবধারিতভাবেই অনন্য।
টিকে/